বিষয়ঃ আউলিয়ায়ে কেরামের কাশফ (বাতেনী চক্ষু)'র ক্ষমতা ও উদাহরণ [গাউসে জামান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্]

লেখকঃ (মাসুম বিল্লাহ সানি)

★ যুগ যুগ ধরে এসব উদাহরণ বিদ্যামান কিন্তু আমি আজ জিন্দা ওলী আওলাদে রাসুল (ﷺ) হুজুর কেবলা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) এর একটি উদাহরণ দিব।
→ আজকে (২৬/০৪/১৮) ওনার এক আশেক ও মুরিদের সাথে কথাবার্তা চলাকালে তিনি বললেন -গত দুইদিন আগে আমি হুজুর কেবলার শানে গজল পাঠ পাঠ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ি, আলহামদুলিল্লাহ্‌ তিনি আমাকে দীদার দিয়েছেন। #সুবহানাল্লাহ 

→ এমন আরো জীবন্ত উদাহরণ আছে যেমনঃ আমার আরেক পীর ভাই (Mohammed Arif), এত দূরে যেয়ে লাভ কি আমি (লেখক) নিজেই আরেক জীবন্ত উদাহরণ, আমি কিভাবে হুজুরের নিকট বায়াত হয়েছি তা তো আমি নিজেই জানি। 
এমন আরো ঘটনা জানতে এখানে ভিজিট করুনঃ
গাউসে জামান হযরত তাহের শাহ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) ওনার কারামতঃ  http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2018/04/blog-post_81.html
→ যাই হোক এগুলো নিজেকে বা অন্যকে ধার্মিক প্রমাণের উদ্দেশ্যে নয় আউলিয়ায়ে কেরামের কারামত ও শান সত্য তা প্রমাণ করার জন্য আমরা এক একজন জীবন্ত রাভী বর্ননা দিয়ে যাচ্ছি। কাল হয়ত আমি বা আমরা থাকব না কিন্তু অলীগণের এমন সহস্র কারামত বেঁচে থাকবে।

যদি একজন আল্লাহর ওলী এক দেশ থেকে বসে অন্য দেশে অবস্থিত এক মুরিদের মনের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার এবং তাকে স্বপ্নে দীদার দেয়ার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়ে থাকেন (যা সম্পূর্ণ অসম্ভব ও অদৃশ্য এক জ্ঞানের প্রমাণ) তাহলে আমাদের প্রাণের নবীজী (ﷺ) এর ইলমে গায়েবের ক্ষমতা কতটুকু হবে?

→ ♣ মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যামূলক গ্রন্থ মিরকাতে শাইখ আবু আবদুল্লাহ; সিরাজী কর্তৃক সংকলিত কিতাবে আকায়িদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছেঃ-বান্দার আধ্যাত্মির পরিবর্তন হতে থাকে শেষ পর্যন্ত যখন রুহানীয়তের গুণ প্রাপ্ত হয় তখনিই গায়ব সম্পর্কে অবগত হয়।

♣''মেরকাতের আর এক জায়গায় উক্ত কিতাবে আকায়িদ গ্রন্থের বরাত দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছেঃ-কামিল বান্দা যাবতীয় বস্তুর নিগূঢ় তত্ত্ব ও রহস্য সম্পর্কে অবিহিত হন এবং তার কাছে অদৃশ্যের বিষয়ও প্রকাশিত হয়ে যায়।

♣''হুযুর গাউছে পাক (রহমতুল্লাহে আলাইহে) ফরমানঃ-(আমি আল্লাহ তাআলার সমস্ত শহরগুলোকে এভাবে দেখেছি যেমন কয়েকটি তৈলবীজ পরস্পর সন্নিবেশিত হয়ে আছে।)

♣ শাইখ আবদুল হক মুহাদ্দিছ দেহলবী (রহমতুল্লাহে আলাইহে) তার রচিত ‍যুবদাতুল আসরার গ্রন্থে হযরত গাউছে পাকের (রহমতুল্লাহে আলাইহে) একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রণিধানযোগ্য উক্তির বর্ণনা দিয়েছেনঃ-
"গাউছে পাক (রহমতুল্লাহে আলাইহে) ফরমানঃ হে সাহসীভক্তগণ হে আমার সন্তানগণ এসো আমার এ অকুল সমুদ্র থেকে কিছু আহরণ কর। খোদার কসম নেককার ও বদকার লোকদেরকে আমার সামনে উপস্থিত করা হয় আর আমরা চোখের কোনা লওহে মাহফুজের দিকে নিবদ্ধ থাকে। আমি আল্লাহ তাআলার অপার জ্ঞান সমুদ্রে ডুব দিয়ে থাকি।''

♣ আল্লামা জামী (রহমতুল্লাহে আলাইহে) তার রচিত نفحات الانس কিতাবে হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দী (কুঃসিঃ) এর একটি উক্তি উল্লেখ করেছেন। উক্তিটি হলোঃ-
"হযরত আযীযান (রহঃ) বলেন যে একদল আওলিয়া কিরামের সামনে পৃথিবীটা দস্তরখানার মত আর আমি মনে করি আঙ্গুলের নখের মত। কোন বস্তুই তাদের দৃষ্টি বহির্ভূত নয়।"

♣ মিশকাত শরীফের ‘ফযায়েলে সায়্যিদুল মুরসালীন’ শীর্ষক অধ্যায়ে ‘মুসলিম শরীফের’ বরাত দিয়ে হযরত ছওবান (রাদিয়াআল্লাহু তাআলা আনহু) থেকে বর্ণনা করা হয়েছেঃ-অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আমার সম্মুখে গোটা পৃথিবীকে এমনভাবে সঙ্কুচিত করেছেন, যে আমি পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত ও পশ্চিমপ্রান্ত সমূহ স্বচক্ষে অবলোকন করেছি।

♣ শহরে মাওয়াহেবে লাদুনিয়ায়’ (হযরত আল্লামা যুরকানী (রহতুল্লাহে আলাইহে) প্রণীত) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে বর্ণিত আছেঃ-অর্থাৎঃ আল্লাহ তা’আলা আমার সামনে সারা দুনিয়াকে তুলে ধরেছেন। তখন আমি এ দুনিয়াকে এবং এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা’কিছু হবে এমন ভাবে দেখতে পেয়েছি, যেভাবে আমি আমার নিজ হাতকে দেখতে পাচ্ছি।
শানে আউলিয়া সম্পর্কে (৩৭টি পোস্টে) বিস্তারিত পাবেনঃ

 
Top