[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, 

✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]


🔴প্রশ্নঃ🔴 পাগড়ী পরে নামায আদায় করা শুধু ফরয নামাযের জন্য নির্দিষ্ট নাকি সুন্নাত ও নফল নামায পাগড়ী পরে আদায় করলে সওয়াব পাওয়া যাবে কিনা?

উত্তর: পুরুষের জন্য মাথায় পাগড়ী বাঁধা আমাদের প্রিয়নবী (ﷺ)-এর একটি প্রিয় সুন্নাত। প্রিয়নবী (ﷺ) বেশীরভাগ সময় মাথা মুবারকের টুপির উপর পাগড়ী মুবারক বাঁধতেন। পাগড়ী বাঁধা ছিল প্রিয়নবী (ﷺ)-এর স্বভাবগত সুন্নাত। হাদীসে পাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাগড়ী বাঁধার জন্য উদ্বুদ্ধও করেছেন। তিনি বলেন-

عليكم بالعمائِمِ فَاِنَّهَا سِيَمَاءُ الملائكة

অর্থাৎ- তোমরা পাগড়ী বাঁধবে, কেননা এটা ফেরেশতাদের প্রতীক।

[বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৬২৬২] প্রিয়নবী রাসূল পাক (ﷺ) প্রায় সময়, বিশেষ করে পাঞ্জেগানা নামায, সফর, আগত মেহমান ও প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত, যুদ্ধ এবং ভাষণ দেয়ার সময় পাগড়ী পরিধান করতেন। তবে গৃহে অবস্থানকালে ও অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার সময় পাগড়ী খুলে রাখতেন। অধিকাংশ ফকিহ্গণের দৃষ্টিতে নামাযের সময় পাগড়ী বাঁধা সুন্নাতে মুস্তাহাব্বাহ্। পাগড়ী ছাড়া নামায পড়লে নামায মাকরূহ হবে না, তবে পাগড়ী সহ নামায আদায় করলে নিঃসন্দেহে সাওয়াব বেশি হবে। যেমন-

صلوة بعمامة تعدل خمسًا وعشرين صلوة بلا عمامةِ

অর্থাৎ- পাগড়ী সহ এক নামায, পাগড়ীহীন (২৫) পঁচিশ নামাযের সমান।

জামেউস্ সগীর-এ হযরত ইমাম মুহাম্মদ (رحمة الله) বলেন-

جمعة بعمامة تعدلُ سبعين جمعةً بلاعمامةٍ

অর্থাৎ- পাগড়ী সহ এক জুমার নামায আদায় করা পাগড়ীহীন সত্তর (৭০) জুমার নামায আদায়ের সমান।

উল্লেখ্য যে, পাগড়ীর হাদীসকে অনেকেই সনদের সূত্রে দুর্বল বললেও জাঈফ বা দুর্বল হাদীস আমল করার ক্ষেত্রে মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। সুতরাং ফরজ, সুন্নাত ও নফল নামাযসহ প্রত্যেক নামাযে পাগড়ী পরিধান করা অত্যন্ত ফজলিত ও বরকতময় এবং অশেষ সাওয়াব।

 
Top