বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

কুরআনথেকে—

মহান আল্লাহ পাক বলেন,

♥ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা মহান আল্লাহকে ভয় করো, যেমন তাঁকে ভয় করা উচিত।”

[সূরা আলে- ইমরান ১০২]

♥ “তোমরা আল্লাহকে যথাযথ ভয় কর।”

[সূরা তাগাবুন ১৬]

♥ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।”

[সুরা আহযাব ৭০]


♥ “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহকে ভয় করে চলে আল্লাহ তার পরিত্রাণের পথ বের করে দেন এবং এমন স্থান থেকে তাকে রিযক দান করেন যে স্থান থেকে সে রিযক পাওয়ার ধারণাও করে নি।”

[সূরা তালাক ২-৩]

♥ “যদি তোমরা মহান আল্লাহকে ভয় করো তবে তিনি তোমাদেরকে পার্থক্যকারী জ্ঞান (ভালো খারাপ নিরুপণের) দান করবেন, তোমাদের হতে গুনাহ সমুহ দূর করে দিবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দিবেন।আর আল্লাহ পাক মহান আরশের অধিপতি।”

[সূরা আনফাল ২৯]



হাদিসথেকে—

**

হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) বর্ণনা করেন,

রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলো।

“সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি কে?”

তিনি বললেন,“সবার চেয়ে যে বেশি আল্লাহভীরু।”

সাহাবীগণ বললেন, “আমরা একথা জিজ্ঞেস করছি না।”

তিনি বললেন, তাহলে আল্লাহর নবী ইউসুফ, যাঁর পিতা আল্লাহর নবী, তাঁর পিতা আল্লাহর নবী এবং তাঁর পিতা ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ।

সাহাবীগণ বললেন, “আমরা আপনাকে এ বিষয়েও জিজ্ঞেস করছি না।”

তখন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তাহলে তোমরা আরবের বিভিন্ন গোত্রের কথা জিজ্ঞেস করছো। (জেনে রেখ) জাহেলিয়াতের যুগে যারা ভালো ছিল, তারা ইসলামের যুগেও ভালো, যদি তারা বুদ্ধিমান ও জ্ঞানবান হয়ে থাকে।” (বুখারী ও মুসলিম)

[রিয়াদুস সলিহীন—৬৯]

**

**

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

“দুনিয়াটা অবশ্যই সুমিষ্ট ও চাকচিক্যময়। আল্লাহ তোমাদেরকে দুনিয়ায় তাঁর প্রতিনিধি বানিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি দেখতে চান তোমরা কেমন কাজ করো। কাজেই (তোমরা) দুনিয়াকে ভয় করো এবং নারীদের (ফিতনা) কেও ভয় করো। কারণ বনী ইসরাঈলের প্রথম ফিতনা নারীদের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছিল।” (মুসলিম)

[রিয়াদুস সলিহীন—৭০]

**

হযরত ইবন মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট হিদায়াত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও স্বনির্ভরতা কামনা করছি। ”(মুসলিম)

[রিয়াদুস সলিহীন—৭১]

**

হযরত আবু তারিফ ‘আদী ইবনে হাতেম তা’ঈ (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) বলেন,

রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে শপথ করার পর অধিকতর তাকওয়ার কোনো কর্ম দেখলো। এ অবস্থায় সে আল্লাহভীতির কাজটি-ই তার করণীয়।” (মুসলিম)

[রিয়াদুস সলিহীন—৭২]

**

হযরত আবু উমামা সুদাই ইবনে আজলান বাহেলী (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) বর্ণনা করেন,

আমি রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) বিদায় হজ্জের ভাষণ শুনেছি। তিনি বলেন,

“তোমারা আল্লাহকে ভয় করো, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করো, রমযানের রোযা পালন করো, স্বীয় মালের যাকাত দাও এবং নিজেদের শাসকের (বৈধ) নির্দেশ মেনে চলো। তাহলে তোমরা তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিযী)

[রিয়াদুস সলিহীন—৭৩]



যেখান থেকে সংগৃহীত হয়েছে—

রিয়াদুস সলিহীন প্রথম খন্ড, পরিচ্ছেদ ৬।

 
Top