♦ " যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে,আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা হ’তে সাবধান
থাকে তারাই সফলকাম "
(নূর ২৪/৫১-৫২)

রাসুলুল্লাহ(সা:) এর আনুগত্য সম্পর্কে -
---নিসা 80,59
---আনফাল 1,24
---আল ইমরান 31
---আল -আহযাব 21,36
---নুর 47,51,52,54
---ফাতহ 10


♦"মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।"
--(হুজরাত ২)



♦“রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না।” (২৪ : ৬৩)


 ♦আল্লাহ পাক হাদিসে কুফসিতে বলেন:-

كنت كنزا مخفيا فاحببت ان اعرف فخلقت الخلقت لاعرف

অর্থ: আল্লাহ পাক বলেন,আমি গুপ্ত ছিলাম। আমার মুহব্বত হলো যে, আমি জাহির/প্রকাশিত হই। তখন আমি আমার ( রুবুবিয়্যত) জাহির করার জন্য সৃষ্টি করলাম মাখলুকাত"
সুত্র:::-
√ আল মাকাসিদুল হাসানা ৮৩৮
√ কাশফুল খিফা ২০১৩
√ আসনাল মুত্বলিব ১১১০
√ তমীযুত ত্বীব ১০৪৫
√ আসরারুল মরফুয়া ৩৩৫
√ তানযিয়াতুশ শরীয়া ১/১৪৮
√ আদ্দুরুল মুন্তাসিরা ৩৩০
√ আত তাযকিরা ফি আহাদীসিল মুশতাহিরা ১৩৬
√ কানযুল উম্মাল।

♦অপর হাদিসে আছে:-


عن ابن اباس رضي الله عنهما انه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم اتاني جبريل عليه السلام فقال يا رسول الله صلي عليه و سلم لولاك ما خلقت الجنة ولولاك ما خلقت النار

অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্নিত, নিশ্চয়ই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, আপনি যদি না হতেন তবে আমি জান্নাত ও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না। "
সুত্র-
√ কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২
√ দয়লামী শরীফ ।


♦ ‘‘তোমাদের কেউই ঈমানদার হবে না যতক্ষণ আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সকল মানুষ হতে প্রিয়তম না হই।’’
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭৮]


♦হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত , এক ব্যাক্তি আবেদন করলেন , ইয়া রাসুলাল্লাহ ! কেয়ামত কখন হবে ? উত্তরে আল্লাহর রাসুল জিজ্ঞেস করলেন । ক্বিয়ামতের জন্য তুমি কি প্রস্তুতি নিয়েছ ? লোকটি আরয করলো , তজ্জন্য আমি তেমন কোন প্রস্তুতি নিতে পারিনি ; তবে আমি আল্লাহ এবং তাঁর প্রিয় রাসুল কে ভালবাসি। এবার হুজুর এরশাদ করলেন , তুমি যাকে ভালবাস কিয়ামত দিবসে তুমি তার সাথেই থাকবে । ( এ হাদিসের বর্ণনাকারী ) হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন , "ইসলামের আবির্ভাবের পরে আমি মুসলমানদেরকে এরূপ আর খুশি হতে দেখিনি, যে রুপ এ কথাটুকু শুনে খুশি হয়েছেন ।"

( সুত্র বুখারী ২য় খন্ড ৯১১ পৃষ্ঠা , মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড ৩৩১ পৃষ্ঠা , মিশকাত শরীফ ৪২৬ পৃষ্ঠা ।)


♦আবূল ইয়ামান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ সেই পবিত্র সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা ও সন্তানের চেয়ে বেশি প্রিয় হই।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ ২ ঈমান হাদিস নাম্বারঃ ১৩

♦ইয়া’কুব ইব্‌ন ইবরাহীম ও আদম (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষন না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে বেশী প্রিয় হই।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ ২ ঈমান হাদিস নাম্বারঃ ১৪

♦মুহাম্মদ ইবনুল মুসা ন্না (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকে, সে ঈমানের স্বাদ পায়। ১। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) তার কাছে অন্য সব কিছুর থেকে প্রিয় হওয়া; ২। কাউকে খালিস আল্লাহ্‌র জন্যই মুহব্বত করা; ৩। কুফ্‌রীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ ঈমান হাদিস নাম্বারঃ ১৫

♦সুলায়মান ইব্‌ন হারব (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকে, সে ঈমানের স্বাদ পায়—(১) যার কাছে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল অন্য সব কিছু থেকে প্রিয়; (২) যে একমাত্র আল্লাহ্‌রই জন্য কোন বান্দাকে মুহব্বত করে এবং (৩) আল্লাহ্ তা’আলা কুফর থেকে মুক্তি দেওয়ার পর যে কুফর-এ ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতোই অপছন্দ করে।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ ওহীর সূচনা হাদিস নাম্বারঃ ২০


♦মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন হাওশাব তায়েফী (রহঃ) আনাস ইবন মালিক (বা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তিনটি জিনিস এমন যার মধ্যে সেগুলো পাওয়া যাবে, সে ঈমানের স্বাদ পাবে। ১ আল্লাহ ও তার রাসুল তার কাছে অন্য সবকিছু থেকে প্রিয় হওয়া। ২, কাউকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য ভালবাসা। ৩- জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে যেভাবে অপছন্দ করে, তেমনি পুনরায় ফূফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করাকে অপছন্দ করে।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা হাদিস নাম্বারঃ ৬৪৭২

♦ইয়াহইয়া ইবন সুলায়মান (রহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা একদা নাবী (সাঃ) -এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি তখন উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর হাত ধরেছিলেন। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! আমার প্রাণ ব্যতীত আপনি আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয়। তখন নাবী (সাঃ) বললেনঃ না, ঐ মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! এমন কি তোমার কাছে তোমার প্রাণের চেয়েও আমাকে অধিক প্রিয় হতে হবে। তখন উমর (রাঃ) তাকে বললেনঃ এখন আল্লাহর কসম! আপনি আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয়। নাবী (সাঃ) বললেনঃ হে উমর! এখন (তোমার ঈমান ণূর্ণ হয়েছে)।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ শপথ ও মানত হাদিস নাম্বারঃ ৬১৭৮


♦আদাম (রহঃ) আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে না, যতক্ষন না সে কোন মানুষকে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালবাসবে, আর যতক্ষণ না সে যে কুফরী থেকে আল্লাহ তাকে উদ্ধার করেছেন, তার দিকে ফিরে যাওয়ার চাইতে আগুন নিক্ষিপ্ত হওয়াকে সর্যাধিক প্রিয় মনে করবে এবং যতক্ষণ না আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তার কাছে অন্য সব কিছুর চেয়ে অধিক প্রিয় হবেন।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ আচার ব্যবহার হাদিস নাম্বারঃ ৫৬১৫


♦ " যে ব্যক্তি আমার কোনো উম্মতের
একটি প্রয়োজন পূর্ণ করল সে আমাকে সন্তুষ্ট করল আর যে আমাকে সন্তুষ্ট করল সে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করল যে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করল আল্লাহতাআলা তাকে জান্নাত দান করবেন।"
(শুআবুল ঈমান, বায়হাকী,হাদীস : ৭৬৩৫)



♦" রাসূলুল্লাহ (ﷺসা:) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করল, সে আল্লাহরই অনুসরণ করল, আর যে ব্যক্তি আমার নাফরমানী করল, সে তো আল্লাহ্‌র নাফরমানী করল।"
( সুনানু ইবনে মাজাহঃ- ০৩)



♦ " আমার খাতিরে আল্লাহ্ তায়ালা, আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ও ভুল ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তার সে কাজ যা সে বাধ্য হয়ে করেছে। "
[ইবনে মাজাহ্ (নং-২০৪৫)]



♦ " হযরত উরওয়া বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন-"যখনই প্রিয় নবী (সঃ) থুথু মোবারক ফেলতেন,সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কেউ না কেউ তা হাতের মধ্যে নিয়ে নিতেন এবং থুথু মোবারক মুখে ও শরীরে মালিশ করে নিতেন।"
( বোখারী, ১ম খন্ড, অযু অধ্যায়, ১৬৮ পরিচ্ছেদ)








 
Top