নবীগনের ও সাহাবীগনের দেহ মোবারক
ভাদের ওফাতের পরও অক্ষভ থাকে এবং ওনাদের ওফাতের পরবর্তী বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রমান করে নবীগন ও ওলীগন জীবিত :-



★★★ Hadith ($)

'ঊরউয়া رضئ اللہ تعالی عنہ থেকে বর্ণিত ,

" যখন আল-ওয়ালিদ বিন আব্দুল মালেক এর খিলাফত কালে ওয়াল টি কবরের ওপর ধ্বসে পরেছিল , লোক জন এটা মেরামত করতে শুরু করল ,এবং একটা পা তাদেরমধ্যে দৃষ্টি-গোচর হল। লোক জন ভীত হলো এবং ভাবতে লাগল যে তা রাসূল صلى الله عليه و آله وسلم
এর পা মোবারক । কাউকেই পাওয়া গেল না যে এটা সম্পর্কে বলতে পারে যতক্ষন পর্যন্ত না আমি 'ঊরউয়া তাদের বললাম ,
"আল্লাহ্‌ سبحانہ و تعا لی এর নামে শপথ করে বলছি যে ইহা রাসুল
صلى الله عليه و آله وسلم এর পা মোবারক নয় বরং ইহা ঊমর (রা) এর পা।"

Reference :

From:Bukhari
Book #23,
Hadith#474




★★★ Hadith :

হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত ,
"যখন ওহুদের যুদ্ধের সময় হল, রাতে আমার আব্বা আমাকে
ডাকলেন এবং বললেন, "আমি মনে করি রাসূল صلى الله عليه و آله وسلم এর সাহাবী গণের মধ্যে আমিই প্রথম শহীদ হব।
আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه و آله وسلم এর পবিত্র আত্মার পর আমার কাছে তোমার চাইতে অধিক প্রিয় আমার পরে আর কাউকে রেখে যাচ্ছি না ! আমার কিছু ঋণ ছিল তুমি এগুলো পরিশোধ করো।এবং তোমার বোনের সাথে (সুন্দর ভাবে ) সহায়ক পূর্ণ আচরণ করো।
সকালে তিনিই প্রথম শহীদ হয়েছিলেন এবং তাকে অন্যান্য শহীদ গণের সাথে সমাধিস্থ করা হল। আমি ওনাকে অন্যান্য (শহীদ গণের) সাথে ছেড়ে দিয়ে (আমাদের থেকে দুরে রাখতে) চাইলাম না। তাই সমাধিস্থ করার ৬ মাস পর আমি ওনাকে কবর থেকে উঠিয়ে আনলাম।
তিনি ছিলেন একই রকম যেমনটি তিনি সমাধিস্থ করার দিন ছিলেন শুধু মাএ কানের দিকটাতে সামান্য পরির্বতন ছিল ।"

Reference:

From: Sahih Bukhari
Book #23,
Hadith #434



★★★ Hadith :


হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল স. বলেন,

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ , عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَعْدٍ الْجُعْفِيِّ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” حَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ ، فَإِنَّهُ كَانَتْ فِيهِمُ الأَعَاجِيبُ ، ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ ، قَالَ : خَرَجَتْ رُفْقَةٌ مَرَّةً يَسِيرُونَ فِي الأَرْضِ فَمَرُّوا بِمَقْبَرَةٍ ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ : لَوْ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ دَعَوْنَا اللَّهَ لَعَلَّهُ يُخْرِجُ لَنَا بَعْضَ أَهْلِ هَذِهِ الْمَقْبَرَةِ فَيُخْبِرُنَا عَنِ الْمَوْتِ ، قَالَ : فَصَلُّوا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ دَعَوْا ، فَإِذَا هُمْ بِرَجُلٍ خِلاسِيٍّ قَدْ خَرَجَ مِنْ قَبْرٍ يَنْفُضُ رَأْسَهُ ، بَيْنَ عَيْنَيْهِ أَثَرُ السُّجُودِ ، فَقَالَ : يَا هَؤُلاءِ مَا أَرَدْتُمْ إِلَى هَذَا ؟ لَقَدْ مِتُّ مُنْذُ مِائَةِ سَنَةٍ فَمَا سَكَنَتْ عَنِّي حَرَارَةُ الْمَوْتِ إِلَى السَّاعَةِ ، فَادْعُوا اللَّهَ أَنْ يُعِيدَنِي كَمَا كُنْتُ ” .

“তোমরা বনী ইসরাইলদের ঘটনা বর্ণনা করো। কেননা তাদের মাঝে অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এরপর রাসূল স. একটি ঘটনা বর্ণনা করলেন,

একদা বনী ইসরাইলের কয়েকজন বন্ধু ভ্রমণে বের হল। তারা একটি কবরস্থান দিয়ে অতিক্রম করছিল । তারা একে -অপরকে বলল, “আমরা যদি, দু’রাকাত নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে দুয়া করি, তাহলে আল্লাহ তায়ালা হয়তো কবরের কোন ব্যক্তিকে আমাদের সামনে উপস্থিত করবেন। সে মৃত্যু সম্পর্কে আমাদেরকে বলবে।
তারা দু’রাকাত নামায আদায় করল। এরপর আল্লাহর কাছে দুয়া করল।

``হঠাৎ এক ব্যক্তি মাথা থেকে মাটি পরিষ্কার করতে করতে কবর থেকে বের হয়ে এল। তার কপালে সিজদার চিহ্ন ছিল। সে বলল, তোমরা কী চাও? আমি একশ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেছি। এখনও আমার দেহ থেকে মৃত্যুর যন্ত্রনা উপশমিত হয়নি। আল্লাহর কাছে দুয়া করো, যেন তিনি আমাকে পূর্বের স্থানে (কবরে) ফেরত পাঠিয়ে দেন``

যেসব বিখ্যাত মুহাদ্দিস হাদীসটি তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন,

১. ইবনে আবিদ দুনিয়া রহ., মান আশা বা’দাল মাউত। হাদীস নং ৫৮
২. মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমাইদ, হাদীস নং ১১৬৪
৩.ফাওয়াইদু তামাম আর-রাজী, হাদীস নং ২১৭
৪. আল-জামে লি আখলাকির রাবী, খতীব বাগদাদী, হাদীস নং ১৩৭৮
৫. আল-বা’স, ইবনে আবি দাউদ, হা.৫
৬.আজ-জুহদ, ইমাম ওকী ইবনুল জাররাহ, হাদীস নং৮৮
৭. আজ-জুহদ, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ.
৮. মাজালিস মিন আমালি ইবনে মান্দাহ, ইবনে মান্দাহ, হাদীস নং ৩৯৩
৯. আল-মাতালিবুল আলিয়া, ইবনে হাজার আসকালানী রহ. হাদীস নং ৮০৭
১০. ফুনুনুল আজাইব, হা.১৯
১১. শরহুস সুদুর, জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহ. পৃ.৪২-৪৩

ঘটনাটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত। তামাম আর-রাজী এটি সরাসরি রাসূল স. থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে হাজার আসকালানী রহ. হযরত জাবির রা. থেকে মওকুফ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, যেটি মরফু এর হুকুমে। সুতরাং ঘটনার প্রামাণ্যতার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।




★★★ ($) Hadith ():-

""হযরত ফজল ইবনে আব্বাস রাদ্বি আল্লাহু আনহু বলেন,

যখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা কে কবর শরীফে রাখা হল তখন আমি শেষ বারের মত দর্শনের জন্য কাফন মুবারক খুলে তাঁর চেহরায়ে আনওয়ারের যিয়ারত করলাম|যখন আমি দেখলাম তাঁর মুবারক ওষ্ঠদ্বয় নাড়াচড়া করছিলেন,তখন আমি আমার কান কাছে নিয়ে শুনতে পেলাম-তিনি বলছিলেন,হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করে দাও|এ কথা আমি উপস্থিত সবাইকে শুনালাম|উম্মতের প্রতি প্রিয় নবীর এ মায়া দেখে সবাই আশ্চর্যান্বিত হয়ে গেলেন ।

Reference :

★ আল-হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল,
★ মাদারিজুন্ নবুওয়াত ২ খণ্ড




★★★ এক নেককার যুবক তথা আল্লাহর ওলীর সাথে হযরত ওমর ফারুক (রা) এর কথা বলাই তা প্রমান করে অলীগন জীবিত :

একদিন হযরত ফারুকে আ'যম রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু এক নেককার যুবকের কবরে তাশরীফ নিলেন এবং বলেন,হে অমুক! আল্লাহ তাআলা ওয়াদা করেছেন...
ওয়া লিমান খাফা মক্বামা রব্বিহী জান্নাতান
অর্থাৎ যে ব্যক্তি আপন প্রতিপালকের সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করে,তার জন্য দুটি জান্নাত রয়েছে।

[সূত্র:পারা 27 সুরা আর রহমান আয়াত 46]

হে যুবক! বলো,তোমার কবরের কী অবস্থা? তখন যুবকটি কবরের ভিতর থেকে আওয়াজ দিলেন...
ওহে আমীরুল মু'মিনীন! ক্বাদ আ'ত্বানীহিমা রব্বী আযযা ওয়া জাল্লা ফীল জান্নাতি
অর্থাৎ আমার রব তাআলা! আমাকে সেই দুটি জান্নাতই দান করেছেন।

Reference :-

[তারিখে দামেস্ক লিইবনে আসাকির 45তম খন্ড 450 পৃষ্ঠা,
তাফসীরে ইবনে কছিীর]


উক্ত হাদিসের সাথে সম্পর্কিত বহু সহিহ হাদিস আছে
এখানে কয়েকটা উল্লেখ্য করলাম :

★★★ ইব্রাহিম বিন মুহাম্মদ (রা) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) বছরের প্রারম্ভে ওহুদ যুদ্ধে শহীদদের সমাধি জেয়ারতে যেতেন এবং বলতেন:

السلام عليکم بما صبرتم فنعم عقبي الدار.

আপনাদের উপর সালাম! আপনারা আপনাদের ধৈর্যের ফলস্বরূপ আখেরাতে কি চমৎকার জায়গাই না পেয়েছেন।
আবু বকর, উমর এবং ওসমান (রা) একই ভাবে জেয়ারতে যেতেন।

Reference :-

১। মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক: ৩:৫৭৩
২। আইনি, উমদাদুল কারী, ৮:৭০
৩। তাবরী, জামি আল কুরআন, ১৩:১৪২
৪। ইমাম সুউতি, দারুল ময়ানসুর, ৪:৬৪১
৫। তাফসীর ইবনে ই কাসীর।




 
Top