আশুরার ফযীলত ও আমল

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr">বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমআল্লাহুম্মা সল্লে আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদিন</div><div dir="ltr">ওয়ালা আলি সাইয়েদেনা মুহাম্মাদিন ওয়া বারিক</div><div dir="ltr">ওয়াসাল্লিম।</div><div dir="ltr">“আশুরার ফযীলত ও আমল”</div><div dir="ltr">আশুরা শব্দটি আরবী (আইন+ শীন+রা) “আশারা” থেকে</div><div dir="ltr">গঠিত, যার অর্থ দশ। এখানে আশুরা দ্বারা হিজরী ১ম মাস</div><div dir="ltr">মুহাররাম’র দশম দিবস বুঝান হয়েছে। বুযুর্গানে দ্বীনের</div><div dir="ltr">কেউ কেউ বলেন, ওই তারিখকে আশুরা বলার পেছনে কারণ</div><div dir="ltr">হচ্ছে ওই দিন আল্লাহ তাআলা দশ জন নবী (আলাইহিমুস</div><div dir="ltr">সালাম)কে দশটি বিশেষ নেয়ামতদানে ধন্য করেছেন,</div><div dir="ltr">ঐদিন হযরত আদম আলাইহিমুস সালাম’র তওবা কবুল করা</div><div dir="ltr">হয়েছিল। হযরত নুহ আলাইহিস সালাম’র মহাতরী জু’দী</div><div dir="ltr">পাহাড়ে ভিড়েছিল।হযরত মুসা আলাইহিস সালামকে</div><div dir="ltr">ফিরাউনের কবল থেকে মুক্ত করা ও ফিরাউনকে নীল নদে</div><div dir="ltr">ডুবানো হয়েছিল। হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের বেলাদত</div><div dir="ltr">হয়েছিল এবং ঐদিনই তাকে আসমানে উঠানো হয়েছিল।</div><div dir="ltr">হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম মাছের পেট থেকে মুক্তি</div><div dir="ltr">পেয়েছিলেনন এবং ঐদিনই তাঁর উম্মতের পাপ মার্জনা করা</div><div dir="ltr">হয়েছিল।হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে কুয়া থেকে</div><div dir="ltr">উঠানো হয়েছিল। প্রসিদ্ধ রোগ থেকে আইয়ুব আলাইহিস</div><div dir="ltr">সালামেরর আরোগ্য লাভ হয়েছিল। হযরত ইদ্রীস আলাইহিস</div><div dir="ltr">সালামকে আসমানে উওোলন করা হয়েছিল। হযরত ইব্রাহাম</div><div dir="ltr">আলাইহিস সালামেরর বেলাদত ও তাঁর জন্য নমরুদের</div><div dir="ltr">অগ্নিকান্ড ফুল বাগান হয়েছিল। হযরত সুলাইমান</div><div dir="ltr">আলাইহিস সালামকে বাদশাহী ও রাজত্ব দেয়া হয়েছিল।</div><div dir="ltr">এছাড়া আরো অনেক নেয়ামত ও মর্যাদা লাভ এবং বহু</div><div dir="ltr">ঘটনাবলি ঐদিন সংঘটিত হয়েছিল, যা হাদিসের</div><div dir="ltr">ব্যাখ্যাকারি এবং ইতিহাস ও জীবনী গ্রন্থকার ওলামায়ে</div><div dir="ltr">কেরাম উল্লেখ করেছেন। প্রতীয়মান হয় যে, কারবালার</div><div dir="ltr">ঘটনার আগেও আশুরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমান্বিত দিন</div><div dir="ltr">হিসেবে বিবেচিত হত। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে,</div><div dir="ltr">কিয়ামত বা মহাপ্রলয়ও ১০ মুহাররাম জুমার দিন তথা</div><div dir="ltr">আশুরার দিনেই সংঘটিত হবে। [ গুনিয়াতুত তালেবিন কৃতঃ</div><div dir="ltr">হযরত আবদুল কাদের জ্বিলানী রহঃ ]</div><div dir="ltr">“আশুরার আমলসমুহ”</div><div dir="ltr">হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন,”</div><div dir="ltr">আমি নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে</div><div dir="ltr">আশুরার রোযা ছাড়া অন্য কোন (নফল) রোযা একটার উপর</div><div dir="ltr">অন্যটাকে ফযীলত দিয়ে তালাশ করতে দেখিনি। ( বুখারি</div><div dir="ltr">ও মুসলিম)</div><div dir="ltr">হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, হুযুরে</div><div dir="ltr">করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে</div><div dir="ltr">ব্যক্তি মুহাররামের প্রথম জুমার দিন রোযা রাখে, তার</div><div dir="ltr">পুর্ববর্তী গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি</div><div dir="ltr">মুহাররামের যে কোন বৃহস্পতি,শুক্র ও শনিবার তিনটি</div><div dir="ltr">রোযা রাখে, আল্লাহ তাআলা তার আমলনামায় নয় বছরের</div><div dir="ltr">ইবাদত (এর সওয়াব) লিখে দেন। (নুযহাতুল মাজালিস ১/১৭৬)</div><div dir="ltr">হযরত আয়েশা সিদ্দকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন যে,</div><div dir="ltr">হুযুরে পাক সল্লাল্লা৩হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ</div><div dir="ltr">করেন, যে ব্যক্তি আশুরা পর্যন্ত মুহাররাম’র দশটি রোযা</div><div dir="ltr">রাখে তাকে (জান্নাতুল) ফিরদাউস’র উচ্চ স্থানের ওয়ারিশ</div><div dir="ltr">করা হয়। (নুযহাতুল মাজালিস ১/১৭৭)</div><div dir="ltr">সুলতানুল আউলিয়া হযরত খাজা নিজামউদ্দীন আউলিয়া</div><div dir="ltr">মাহবুবে ইলাহী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, শায়খুল</div><div dir="ltr">ইসলাম কুতুবুল আকতাব হযরত ফরীদউদ্দীন মাসউদ গন্জ্ঞে</div><div dir="ltr">শাকার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আশুরার ফযীলত সম্পর্কে</div><div dir="ltr">বলেছেন যে,</div><div dir="ltr">“আশুরার দিন বনের হরিণীও খান্দানে রাসুল সল্লাল্লাহু</div><div dir="ltr">আলাইহি ওয়াসাল্লামার প্রতি মহব্বতের কারণে নিজের</div><div dir="ltr">বাচ্চাদের দুধ দেয় না। তবে কেন এ রোযা ত্যাগ</div><div dir="ltr">করা?” (রাহাতুল কুলুব ৫৮)</div><div dir="ltr">হুযুরে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ</div><div dir="ltr">করেছেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিন চার রাকাত নামায</div><div dir="ltr">এভাবে আদায় করে যে, প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার</div><div dir="ltr">সাথে এগার বার কুলহুয়াল্লাহু (সুরা একলাস) পড়ে, আল্লাহ</div><div dir="ltr">তাআলা তার ৫০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। আর তার জন্য</div><div dir="ltr">একটি নুরের মিম্বর তৈরী করেন।(নুযহাতুল মাজালিস ১/১৭৮)</div><div dir="ltr">হুযুরে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ</div><div dir="ltr">করেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিন নিজের পরিবার পরিজনের</div><div dir="ltr">জন্য খানা পিনা স্বচ্ছন্দ পরিমাণে দেয়, আল্লাহ তার জন্য</div><div dir="ltr">সারা বছর স্বাচ্ছন্দ্য দান করেন (বায়হাকী, নুযহাতুল</div><div dir="ltr">মাজালিস ১/১৭৮)</div><div dir="ltr">“মুহাররামের অনুষ্ঠানাদি উদযাপন ও ঈসালে সওয়াব”</div><div dir="ltr">একবার হযরত সাদ বিন উবাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এসে</div><div dir="ltr">আরয করলেন ইয়া রসুল্লাল্লাহ, আমার শ্রদ্বেয় আম্মাজান</div><div dir="ltr">ইন্তেকাল করেছেন,(আমি জানতে চাই) কী ধরনের সদকা</div><div dir="ltr">উত্তম হবে?(যা আমি আমার মায়ের জন্য তার রুহে সওয়াব</div><div dir="ltr">পৌছাতে করতে চাই) তখন নবিজী ইরশাদ করলেন, “পানি”।</div><div dir="ltr">তখন তিনি(সাদ) একটি কূপ খনন করালেন।আর বললেন এটা</div><div dir="ltr">সাদের মায়র জন্য।( আবু দাউদ শরীফ,কিতাবুয যাকাত)</div><div dir="ltr">হযরত শাহ আবদুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী(রাহমাতুল্লাহি</div><div dir="ltr">আলাইহি) বলেন,”হযরত (হসান ও হুসাইন) ইমামদ্বয়ের রুহে</div><div dir="ltr">সওয়াব পৌছানোর জন্য নেয়াযস্বরুপ যে খানা (পাকানো)</div><div dir="ltr">হয় এবং যার উপর ফাতেহা,কুলকানি ও দরুদ পড়া হয়,তা</div><div dir="ltr">তাবাররুকাত(বরকতমন্ডিত বস্তু) এ পরিণত হয়। সে খানা</div><div dir="ltr">গ্রহণ করা অতি উত্তম।(ফতয়ায়ে আজিজি ৭৫)</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আরো পড়ুন এখান থেকে- <a href="https://islamijiboon.blogspot.qa/2017/09/Fazilat-Of-Muharram.html" target="_blank">আশুরার ফযিলত ও রোযা</a></div><div dir="ltr"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-PUR9yFIjQlQ/Wci14uvqdjI/AAAAAAAABCc/FCXjQTzRKCYVrL4YzOXNpGGB5wohT4-0gCHMYCw/s1600/Imam_Husayn_Shrine_by_Tasnimnews_01.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-PUR9yFIjQlQ/Wci14uvqdjI/AAAAAAAABCc/FCXjQTzRKCYVrL4YzOXNpGGB5wohT4-0gCHMYCw/s640/Imam_Husayn_Shrine_by_Tasnimnews_01.jpg" /> </a> </div></div>

আশুরার ফযীলত ও আমল

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমআল্লাহুম্মা সল্লে আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আলি সাইয়েদেনা মুহাম্মাদিন ওয়া বারিক ওয়াসাল্লিম। “আশুরার ফযীলত...

আরও পড়ুন »

হিজরী সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><br />بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد المرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين, أما بعد!</div><div dir="ltr">আল্লাহ তা’লা এরশাদ করেন : هُوَ الَّذي جَعَلَ الشَّمسَ ضِياءً وَالقَمَرَ نورًا وَقَدَّرَهُ مَنازِلَ لِتَعلَموا عَدَدَ السِّنينَ وَالحِسابَ ما خَلَقَ اللَّـهُ ذلِكَ إِلّا بِالحَقِّ يُفَصِّلُ الآياتِ لِقَومٍ يَعلَمونَ ﴿ يونس-৫﴾  “তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিলসমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে।” (সূরা ইউনূস: আয়াত- ৫)।</div><div dir="ltr">আল্লাহ তা’লা আরো এরশাদ করেন : إِنَّ عِدَّةَ الشُّهورِ عِندَ اللَّـهِ اثنا عَشَرَ شَهرًا في كِتابِ اللَّـهِ يَومَ خَلَقَ السَّماواتِ وَالأَرضَ مِنها أَربَعَةٌ حُرُمٌ ذلِكَ الدّينُ القَيِّمُ فَلا تَظلِموا فيهِنَّ أَنفُسَكُم وَقاتِلُوا المُشرِكينَ كافَّةً كَما يُقاتِلونَكُم كافَّةً وَاعلَموا أَنَّ اللَّـهَ مَعَ المُتَّقينَ ﴿التوبة-৩৬﴾ “নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন।  (সূরা আল-তাওবাহঃ ৩৬)</div><div dir="ltr">সাহাবি হযরত আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, <br />عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَلَا إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ , السَّنَةَ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا , مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ , ثَلاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ؛ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ ، وَرَجَبٌ شَهْرُ مُضَرَ بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ( ) أخرجه البخاري في بدء الخلق (৩১৯৭)، ومسلم في القسامة (১৬৭৯) من حديث أبي بكرة رضي الله عنه. " <br />রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, বারো মাসে বছর। তার মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক: যিলক্বদ, যিলহজ্ব, মহররম আর চতুর্থটি হল রজব মুদার, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস।’(- সহীহ বুখারী ২/৬৭২, হা-৩১৯৭, মুসলিম-১৬৭৯। )</div><div dir="ltr">মুসলিম হিসেবে হিজরী নববর্ষ উদযাপন কিংবা মুসলিমদের গৌরবের দিনটি পালনের ঐতিহ্য আমাদের সংস্কৃতিতে ব্যাপকতা লাভ করেনি। </div><div dir="ltr">আমরা অনেকেই জানি না যে, মুসলিমদের নববর্ষ কোন মাসে হয়? আবার কেউ হয়ত বা হিজরীবর্ষ গণনার সঠিক ইতিহাস জানেন না। হিজরী সনের তারিখের খবরও রাখেন না, এর প্রতি মানুষ আকর্ষণও অনুভব করেন না, তা খুব দুঃখজনক। হিজরীর প্রথম দিনে বাংলাদেশের কোন পত্রিকা সম্পাদকীয় লিখেনা এবং অধিকাংশ পত্র-পত্রিকায় কোন নিউজও আসেনা, এমনকি কোন টিভি চ্যানেল এ সম্পর্কে বিশেষ কোন অনুষ্ঠান রাখেনা। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশের মুসলমানগণ ইসলামী সংস্কৃতি সম্পর্কে কতটা উদাসীন। </div><div dir="ltr">চান্দ্রমাসের প্রভাব ও গুরুত্ব: হিজরী ক্যালেন্ডারের গননা নির্ভর করে চাঁদের আবর্তন-বিবর্তনের উপর। চাঁদের আবর্তন ও বিবর্তনে সদা সচেতনতা ও গূড় পর্যবেক্ষনের প্রয়োজন হয়। নিছক সূর্যের মতো উদিত হওয়া ও অস্ত যাওয়ার মধ্যেই চাঁদ সীমীত নয়। শুধু তাই নয়, চাঁদের উপরেই নির্ভর করে পৃথিবীর অনেক প্রাকৃতিক গতি বিধি, যেমন সাগরের জোয়ার ভাটা, মানুষ, পশু-পাখি, উদ্ভিদরাজী ইত্যাদি অনেক কিছুই লুনার সাইকেলে অবর্তিত হয়ে থাকে।</div><div dir="ltr">চান্দ্রমাসের প্রভাব মুসলমানদের জীবনে ব্যাপক। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব ও গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষত ইবাদতের তারিখ, ক্ষণ ও মৌসুম নির্ধারণের ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। একারণে হিজরী সনের হিসাব স্মরণ রাখা মুসলমানদের জন্য জরুরি। </div><div dir="ltr">মুসলমানগণ হিজরী সনকে ভিত্তি করে বিভিন্ন ধর্মীয় বিধি-বিধান যথাঃ রমযানের রোযা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আয্হা, ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হজ্ব, যাকাত, শবে-বরাত, শবে-ক্বদর, শবে-মি’রাজ, আ’শুরা এবং বিভিন্ন মাসের নফল রোযা ইত্যাদি পালন করে থাকেন। রোযা রাখতে হয় চাঁদ দেখে, ঈদ করতে হয় চাঁদ দেখে। এমনকি স্বামীর মৃত্যুর পর মহিলাদের ইদ্দতের ক্ষেত্রগুলোতেও চন্দ্রবর্ষের হিসাব গণনা করতে হয়। অর্থাৎ মুসলমানদের ধর্মীয় কতগুলো দিন-তারিখের হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্র রয়েছে, সেগুলোতে চাঁদের হিসাবে দিন, তারিখ, মাস ও বছর হিসাব করা আবশ্যকীয়। </div><div dir="ltr">তাইতো মহান আল্লাহ এরশাদ করেন:  يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ وَلَيْسَ الْبِرُّ بِأَن تَأْتُوا الْبُيُوتَ مِن ظُهُورِهَا وَلَـٰكِنَّ الْبِرَّ مَنِ اتَّقَىٰ وَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ أَبْوَابِهَا وَاتَّقُوا اللَّـهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ﴿البقرة-١٨٩﴾ “হে হাবীব! আপনার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। আপনি বলে দিন, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম। আর পেছনের দিক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার মধ্যে কোন নেকী বা কল্যাণ নেই। অবশ্য নেকী হল আল্লাহকে ভয় করার মধ্যে। আর তোমরা ঘরে প্রবেশ কর দরজা দিয়ে এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা নিজেদের বাসনায় কৃতকার্য হতে পার। (বাক্বরাহ-১৮৯)</div><div dir="ltr">হিজরী সনের ইতিহাস: ইসলামের পূর্বে দিন - তারিখ গণনার জন্য আরবদের এমন কোন ঐতিহাসিক উৎস ছিল না যাকে কেন্দ্র করে তারা কয়েক দশক বা শতাব্দীকে চিহ্নিত করতে পারত। অবশ্য তারা তারিখ গণনার জন্য এক দশক বা কয়েক দশকের মধ্যে ঘটমান গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহকে উৎস করে তা কেন্দ্রিক সাময়িক তারিখ গণনা করত। যেমন আবরাহার হাতি বাহিনীর মাধ্যমে মক্কা শহরে হামলা ও কাবা ঘর সংস্কারের বছর যা “আমুল ফী-ল বা হাতির বছর” নামে খ্যাত, কয়েক যুগ পর্যন্ত তারিখ গণনার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়তের প্রচারের সময় যখন তিনি আরকামের বাসায় যান, তা তারিখ গণনার উৎস হিসেবে পরিণত হল।</div><div dir="ltr">পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর মদিনায় ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কোরানের দৃষ্টিতে হিজরতের গুরুত্ব ও ইসলামের উন্নয়ন -সম্প্রসারণে হিজরতের মূল পটভূমিকার জন্য পরবর্তীতে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিণত হয়। </div><div dir="ltr">আর মদিনায় হিজরতের ঘটনাকে আমরা দু’টি দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করতে পারি। <br />প্রথমত: রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ ও দ্বিতীয়ত: শরিয়তগত ও এলাহী দৃষ্টিকোণ।<br /> <br />রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে হিজরতের পর মদিনায় ইসলামের একটি শক্তিশালী - নিরাপদ ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী সমাজে এক নতুন জীবনের সূচনা হওয়ার কারণে হিজরত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং শরীয়তগত ও এলাহী দৃষ্টিকোণ থেকে যেহেতু হিজরতের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ হয়েছিল, তাই এটি একটি শরীয়তী আবশ্যকীয় দায়িত্ব ছিল, আর যদি কেউ বিনা কারণে মক্কায় অবস্থান করতো তাহলে বিনা কারণে এই অবস্থান তার জন্য গোনাহ বিবেচিত হত, তাই শরীয়তী দিক থেকেও হিজরত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। আর উপরোক্ত কারণসমূহ হিজরতের বিষয়টিকে ইসলামী বর্ষ পঞ্জিকার সূচনা হওয়ার বিষয়টিকে যথাযথভাবে অনুমোদন করে।</div><div dir="ltr">৬২২ খ্রীষ্টাব্দের ১২ই সেপ্টেম্বর আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা হতে মদীনায় হিজরত করেন। মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ৬২২ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ বা ১৫ জুলাইয়ের সূর্যাস্তের সময়কে হিজরী সন শুরুর সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। </div><div dir="ltr">হিজরী সন হল মুসলিমদের সন। কিন্তু সঠিক কখন থেকে হিজরত ইসলামী বর্ষপঞ্জির উৎস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে তা সম্পর্কে মতপার্থক্য রয়েছে। <br />অনেকের মতে প্রায় হিজরতের ১৭'তম বর্ষে (৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দ) দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বিভিন্ন কারণে ইসলামী ইতিহাসের সূচনা নির্ধারণের জন্য ইসলামী বর্ষপঞ্জি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।   <br />مَا أخْرَجَهُ أَبُو نُعَيْم الْفَضْل بْن دُكَيْن فِي تَارِيخه وَمِنْ طَرِيقه الْحَاكِم مِنْ طَرِيق الشَّعْبِيّ " أَنَّ أَبَا مُوسَى كَتَبَ إِلَى عُمَر : إِنَّهُ يَأْتِينَا مِنْك كُتُب لَيْسَ لَهَا تَارِيخ ، فَجَمَعَ عُمَر النَّاس ، فَقَالَ بَعْضهمْ : أَرِّخْ بِالْمَبْعَثِ ، وَبَعْضهمْ أَرِّخْ بِالْهِجْرَةِ ، فَقَالَ عُمَر : الْهِجْرَة فَرَّقَتْ بَيْن الْحَقّ وَالْبَاطِل فَأَرِّخُوا بِهَا ، وَذَلِكَ سَنَة سَبْع عَشْرَة . فَلَمَّا اِتَّفَقُوا قَالَ بَعْضهمْ اِبْدَءُوا بِرَمَضَان فَقَالَ عُمَر : بَلْ بِالْمُحَرَّمِ فَإِنَّهُ مُنْصَرَف النَّاس مِنْ حَجّهمْ ، فَاتَّفَقُوا عَلَيْهِ ."( <br /> - الكتب গ্ধ صحيح البخاري গ্ধ كتاب مناقب الأنصار গ্ধ باب التاريخ من أين أرخوا التاريخ. حدثنا عبد الله بن مسلمة حدثنا عبد العزيز عن أبيه عن سهل بن سعد قال ما عدوا من مبعث النبي صلى الله عليه وسلم ولا من وفاته ما عدوا إلا من مقدمه المدينة رقم الحديث-৩৭১৯. فتح الباري شرح صحيح البخاري. وجاء في "الكامل في التاريخ" لعز الدين أبو الحسن علي المعروف بابن الأثير"وسبب ذلك أن أبا موسى الأشعري كتب إلى عمر : إنه يأتينا منك كتب ليس لها تاريخ . فجمع الناس للمشورة ، فقال بعضهم : أرخ لمبعث النبي - صلى الله عليه وسلم - . وقال بعضهم : أرخ لمهاجرة رسول الله - صلى الله عليه وسلم - فقال عمر : بل نؤرخ لمهاجرة رسول الله - صلى الله عليه وسلم - فإن مهاجرته فرق بين الحق والباطل ، قاله الشعبي . الكامل في التاريخ গ্ধ ذكر الوقت الذي ابتدئ فيه بعمل التاريخ في الإسلام. صـ১২)<br />হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর কাছে ইরাক ও কুফার প্রশাসক আবু মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এক চিঠিতে লেখেন, যার বক্তব্য ছিল, “আমিরুল মুমিনীন! আপনার পক্ষ হতে আসা শাসন কার্যের সাথে সংশ্লিষ্ট উপদেশ, পরামর্শ এবং নির্দেশ সম্বলিত বিভিন্ন চিঠিপত্র ও দলিলে কোন সন-তারিখ না থাকায় আমরা তার সময় ও কাল নির্ধারণে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হই। অধিকাংশ সময় এসব নির্দেশনার সাথে পার্থক্য করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে বলে আপনার নির্দেশ ও উপদেশ পালন করতে যেয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।</div><div dir="ltr">এ গুরুত্বপূর্ণ পত্র পাওয়ার পর হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু মুসলিম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে এক পরামর্শ সভার আয়োজন করেন। এ বিষয়টি যখন বিভিন্ন লোকের মাঝে উত্থাপন করা হল তখন প্রত্যেকেই এ বিষয়ে নিজ নিজ মতামত উপস্থাপন করেন। এক দল নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম দিবসকে, কিছু লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়ত প্রকাশের দিবসকে, আবার কেউ কেউ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত দিবসকে বর্ষপঞ্জির সূচনা হিসেবে প্রস্তাব করেন। এরই মাঝে আমিরুল মোমিনীন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের দিনটিকে ইসলামী ইতিহাস ও বর্ষপঞ্জির সূচনা হিসেবে প্রস্তাব করেন এবং এই প্রস্তাবটিই গৃহীত হয়। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মদীনায় হিজরত করার ঐতিহাসিক দিন থেকে নতুন একটি সন তৈরী করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (  - ফতহুল বারী, শরহে বুখারী, ৩৭১৯ হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য, ইবনুল আসীর:আল কামেল, পৃ-১৪)</div><div dir="ltr">হিজরী সনের তাৎপর্য: মুসলিম উম্মাহর কৃষ্টি-কালচারে হিজরী সন ও তারিখের গুরুত্ব অপরিসীম। হিজরতের ঘটনাকে স্মরণ করে হিজরী সন শুরু করার কারণ হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মদীনায় হিজরত করার মাধ্যমে ইসলাম প্রসার লাভ করে, মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকে, মুসলিমদের শক্তিমত্তা বাড়তে থাকে, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, ইসলাম বিজয়ী শক্তিতে পরিণত হয় এবং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।</div><div dir="ltr">হিজরী সন মুসলিম উম্মাহ্কে মনে করিয়ে দেয় প্রিয় নবী রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কা থেকে সুদর মদীনায় হিজরতের ঘটনাকে। <br />বস্তুতঃ রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার সেই ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপর্ণ ঘটনার স্মৃতিবাহী হচ্ছে হিজরী সন। এ হিজরতের মধ্য দিয়েই ইসলাম এক নবশক্তি লাভ করেছিল। এতদিন পর্যন্ত মুসলমানরা কেবল আত্বরক্ষাই করে এসেছে, মুখবুজে জুলুম অত্যাচার সহ্য করে এসেছে। অবশেষে হিজরতের মধ্য দিয়ে এতসব জুলুম-অত্যাচারের প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ক্ষমতা তাঁদের অর্জিত হয় এবং রাষ্ট্রশক্তি হিসাবে ইসলাম আতœপ্রকাশ করে। হিজরত পরবর্তী সময়ে মুসলমানরা ক্রমেই সুসংহত ও সম্প্রসারিত হয়েছে। ইসলাম বিশ্বজনীন রূপে ভাস্বর হয়ে উঠেছে। ইসলামের অবদানে বিশ্ব সভ্যতা সমৃদ্ধশালী হয়েছে। এক সময়ে মুসলমানরা বিশ্বের এক অজেয় শক্তিতে পরিণত হয়েছিল। জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাখাকে অবিস্মরণীয় অবদানে সমৃদ্ধ করে তুলেছিল। তার শুভ সূচনা এই হিজরত থেকেই।</div><div dir="ltr">তাছাড়া আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের কথা গুরুত্বের সাথে কুরআনে উল্লেখ করেছেন। নবীজীর এই ঐতিহাসিক হিজরতের ফলেই তা সম্ভব হয়েছিল। ফলে হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর গুরুত্ব বিবেচনায় নবীজির জন্ম বা ওহী নাজিলের সময়কে হিজরী বর্ষপঞ্জি না করে হিজরতকেই হিজরী সাল রূপে গণ্য করেন। হিজরতের ঘটনাকে স্মরণ করে বানানো হয়েছে বলে এ সনকে হিজরী সন বলা হয়। এ সময় থেকেই ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং আদর্শগত ঐতিহ্যের প্রেক্ষিতে মুসলিমরা মুহাররম মাস দ্বারা বর্ষ গণনা শুরু করেন। </div><div dir="ltr">মুসলিম উম্মাহর কৃষ্টি কালচারে হিজরী সন ও তারিখের গুরুত্ব অপরিসীম। হিজরী সন গণনার সূচনা হয়েছিল ঐতিহাসিক এক অবিস্মরণীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তদীয় সাথীবর্গের মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় রাখার জন্যই আরবী মুহাররম মাসকে হিজরী সনের প্রথম মাস ধরে সাল গণনা শুরু হয়। দ্বীনের স্বার্থে মক্কা থেকে মদীনায় রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরামের হিজরত থেকেই হিজরী সনের সূচনা। </div><div dir="ltr">উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক দিন বা ঘটনা ভিত্তিক বহু সনই বিশ্বে প্রচলিত হয়ে আসছে। উদাহরণতঃ  খ্রীস্টীয় স্মারক সন খ্রীস্টান ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত। জাতিগতভাবে কোন জাতির পক্ষেই আপন ঐতিহ্য ত্যাগ করা সম্ভব নয়। তেমনিভাবে মুসলিম পরিবারগুলোও রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচলিত অন্যান্য সন তারিখ অনুসরণ করা সত্ত্বেও সূচনালগ্ন থেকেই হিজরী সনকে পাশাপাশি গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও আনন্দ-উৎসবসহ সব ক্ষেত্রেই মুসলিম উম্মাহ্ হিজরী সনের অনুসারী। খ্রীস্টীয় সন, বাংলা সনসহ অন্যান্য সনের প্রচলন সত্ত্বেও আরবী সনের দিন মাসের হিসাব চর্চা একটুুও ম্লান হয়নি।</div><div dir="ltr">হিজরত পর্ব প্রাথমিক যুগের মুসলমানদের ন্যায় বর্তমানেও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানগণ ইহুদী-খ্রীস্টানদের হাতে নিপীড়িত, নিগৃহিত ও লাঞ্ছিত হচ্ছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে সে সময়কার মুসলমানদের ন্যায় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে এবং ক্রমান্বয়ে সুসংহত হয়ে নিজ পায়ে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে।</div><div dir="ltr">বাংলাদেশে হিজরি সনের আবির্ভাব: ইসলাম প্রচারের সাথে সাথেই বাংলাদেশে হিজরী সনের প্রচলন ঘটেছে। আমাদের এদেশে ইসলাম প্রচার শুরু হয় হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর খিলাফত কাল থেকেই। তখনকার ইসলাম প্রচারকগণই এদেশে হিজরী সনের প্রচলন করেন। হিজরী সনের বিভিন্ন মাসে ইসলামী বিধি-বিধান থাকার কারণে এদেশের জন-সমাজে হিজরী সনের ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যার প্রতিফলন ঘটেছে মুসলমানদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে ও ভারতে প্রচলিত বাংলা সন সম্পর্কে বলা যায়, হিজরী সনেরই চলমান পথে এক পর্যায়ে সৌরকরণের মাধ্যমে বাংলা সনের জন্ম। আর হিজরী সনই বাংলাদেশে প্রচলিত একমাত্র সন, যা প্রায় জন্মকাল থেকেই এখানে প্রচলিত রয়েছে। বাংলাদেশে ১২০৪ খ্রীষ্টাব্দ হতে সর্বক্ষেত্রে হিজরী সন ব্যবহার শুরু হয় ( - তবাকাতে নাসিরী ১/৫৪ )। </div><div dir="ltr">উপমহাদেশে প্রায় ৫৫০ বৎসর রাষ্ট্রীয়ভাবে এই হিজরী সন স্বীকৃত ছিল। ইংরেজ শাসনকালে আমাদের দেশে অমুসলিমদের রাষ্ট্রীয় সনের প্রচলন হয় (১৭৯০ সাল হতে) যা আজও আমরা অন্ধের মতো ব্যবহার করছি। </div><div dir="ltr">এই পৃথিবীতে মুসলমানদের সংস্কৃতির পাশাপাশি আর যত সংস্কৃতি বর্তমানে রয়েছে সেগুলোর ভিত্তি স্ব-স্ব স্থানের অধিবাসীদের অনুসৃত ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকেই গড়া (এর মধ্যে অনেকেরই ধর্মীয় বিশ্বাস তাদের মনগড়া, আর অনেকেরটি আল্লাহ কর্তৃক অবলুপ্ত/বাতিল করে দেওয়া তাঁরই প্রেরিত বিভিন্ন ধর্মীয় আদর্শের বিকৃত রূপ)। কাজেই মুসলমান জাতি তাদের জন্যে আল্লাহর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নির্দেশে তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক নির্ধারিত সংস্কৃতি ছাড়া আর কোনো সংস্কৃতির অনুসরণের এখতিয়ার রাখে না।</div><div dir="ltr">এতদসত্ত্বেও দুঃখজনক সত্য যে, আমরা অনেকেই অবগত নই যে, মুহাররম মাস ইসলামী নববর্ষ -আনন্দের দিন। কেননা ইসলামের ঘটনাবহুল ইতিহাসের একটি অতি তাৎপর্যমন্ডিত ঘটনাকে স্মরণীয রাখার দিনটি হচ্ছে মুহররম মাস। বিশ্বের মুসলিমদের কাছে ইসলামী সন হিসেবে হিজরী সন অতি পবিত্র ও অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। শুধুমাত্র এই একটি সালেই সমগ্র বিশ্বে সর্বত্র সমানভাবে সমাদৃত। মুসলিমদের কাছে হিজরি সন বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত সন।</div><div dir="ltr">হিজরী সন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ত্যাগের ঐতিহাসিক স্মারক। হিজরী সন আমাদের মনে করিয়ে দেয় কিভাবে অবিশ্বাসীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পৃথিবী হতে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তিনি আজো জাগরূক হয়ে আছেন মুসলিম বিশ্বে।</div><div dir="ltr">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের এই প্রেক্ষাপট ও পটভূমি যদি হিজরী নববর্ষে স্মরণ করা হয় তাহলে মুসলিম ভাই-বোনেরা ইসলামী সাংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারবে। তখনই কেবল ইসলামি সাংস্কৃতি বিমুখ হৃদয় পরিবর্তিত হয়ে ইসলামী হৃদয়ে পরিণত হবে। তাই আমাদের উচিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের তাৎপর্য স্পষ্টভাবে জনসম্মুখে তুলে ধরা। আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই তাওফীক দান করুন।  আমীন।<br />وصلى الله على سيدنا محمد وعلى آله وصحبه اجمعين.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">মুহাররমের ফযিলত ও আমল পড়ুন এখান থেকে- <a href="https://islamijiboon.blogspot.qa/2017/09/Fazilat-Of-Muharram.html" target="_blank">মুহাররমের বৈশিষ্ট্য, ফযিলত ও আমল</a></div><div dir="ltr"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-qG5i3vCVeUQ/WcPPymZ6eKI/AAAAAAAABBM/vDtmgbpQyeQLhjd5DVqHYKFNUpSEtaGXwCHMYCw/s1600/received_1168510516582988.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-qG5i3vCVeUQ/WcPPymZ6eKI/AAAAAAAABBM/vDtmgbpQyeQLhjd5DVqHYKFNUpSEtaGXwCHMYCw/s640/received_1168510516582988.jpeg" /> </a> </div></div>

হিজরী সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد المرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين, أما بعد! আল্লাহ তা’লা এরশাদ করেন : هُو...

আরও পড়ুন »

হস্ত মৈথুন এর কুফল ও ক্ষতিকর দিকগুলোঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> <span style="color: red; font-size: x-large;"><b><i><u>লেখক - মাদানী শাহ্</u></i></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: red; font-size: x-large;"><b><i><u><br /></u></i></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b></b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>হস্ত মৈথুন! অর্থাৎ নিজ হাত দ্বারা নিজে নিজের বীর্যপাত করা। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>বর্তমান সময়ে যুব সমাজ ধ্বংসের অন্যতম একটি মারাত্মক মহামারী ব্যাধির কারণ হচ্ছে হস্ত মৈথুন আর এ মহামারী ব্যাধিতে আক্রাত্র হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>হায়। ঘুনে ধরা মস্তিষ্কের অধিকারী কতিপয় যুবক যুবতীবিবাহের দ্বার অবরুদ্ধ দেখে। নিজেদের নিজ হাত দ্বারা হস্ত মৈথুন করে নিজে নিজের হাত দিয়ে বীর্যপাত করে স্বীয় যৌবনকে ধ্বংস করতে আজ দ্বিধা করছেনা। প্রথমে প্রথমে সে কাজ তৃপ্তিদায়ক মনে হয়, কিন্তু যখন চোখ খুলে যায়, তখন যে সে কাজ কই চলে যায় তাহ বলার বাইরে স্মরণ রাখবেন! এ কাজ হারাম ও গুনাহে কাবীরা। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>আসুন আমরা আর জানি </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>কি তার ভয়াবহতা। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>ইসলামের দৃষ্টি থেকে হস্ত মৈথুন কী? </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>ও কী হয় তার ক্ষতি ও বৈজ্ঞানিক কুফল। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>ইসলামে এ কাজ খুবই অপছন্দনীয়।ও শরীয়ত কর্তৃক কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। জঘন্য নাজায়েজ ও হারাম। আর এ কাজ </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>মহান আল্লাহ্ তা’ আলার স্মরণ থেকে </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>মুসলিমদের অনেক দূরে রাখে। হস্তমৈথুনের ধ্বংসাত্মক বেপারে পবিত্র কুরআনে</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>★ আল্লাহ পাক সুরা বাকারার ১৯৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন: </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>ﻭﻻ ﺗﻠﻘﻮﺍ ﺑﺄﻳﺪﻳﻜﻢ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺘﻬﻠﻜﺔ </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>" তোমরা নিজ হাতদ্বয় দিয়ে নিজেদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দিও না।" </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>অর্থাৎ তোমরা নিজ হাত দিয়ে নিজে বীর্যপাত করিওনা এবং নিজের ধ্বংস নিজে ডেকে আনিওনা।</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>★ হাদিস শরীফে, </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>প্রিয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেন যে ব্যাক্তি হস্ত মৈথুন করবে সে অভিশপ্ত।( ফাতাওয়ায়ে রযভীয়্যা,১০ খন্ড,পৃষ্ঠা ৮৬)</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>★ আলা হযরত আলাইহি রহমা, হস্ত মৈথুন সম্পর্কে লিখেছেন, একাজ ওপবিত্র, হারামও নাজায়েজ। ফাতাওয়ায়ে রযভীয়্যা,১০ খন্ড,পৃষ্ঠা ৮৭)</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>★ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম হস্ত মৈথুন কারীর কঠোর শাস্তির কথা ইরশাদ করেছেন। হযরত শামশুদ্দীন যাহবী আলাইহি রহমা বর্ণানা করেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইরশাদ করেন সাত প্রকার লোকের প্রতি </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>আল্লাহ্ তা'আলা লানত প্রদান করেছেন,কিয়ামত দিবসে তিনি তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি ও নিবন্ধ করবেন না এবং তিনি তাদের বলবেন, তোমরা জাহান্নামে প্রবেশকারীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করো,যদি তারা তওবা না করে মৃত্যুবরণ করে। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>সে সাত প্রকারের লোক হল। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>অবৈধ কাজে লিপ্ত </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(১) ব্যক্তি জিবজন্তুর সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত ব্যক্তি</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(২) মা ও মেয়েকে এক সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধকারী</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(৩) হস্তমৈথুন কারি ব্যক্তি</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(কিতাবুল কবায়ের, পৃষ্ঠা-৬৩)</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>★ আল্লামা মাহমুদ আলুসী আলাইহি রহমা তাফসীরে রুহুল মুয়ানীতে লিখেছেন, হযরত সায়্যিদুনা আতা (রাদ্বীআল্লাহু তা'লা আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,আমি শুনেছি, কিয়ামত দিবসে একদল লোককে হাশরের ময়দানে এমন অবস্থায় উপস্তিত করা হবে যে,তাদের হস্তসমূহ গর্ভবতী থাকবে। এ জন্যে যে তারা নিজ হাতে হস্ত মৈথুন করে গোসল ওয়াজিব করত,অর্থাৎ নিজে নিজ হাতে বীর্যপাত করতো। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>তিনি আরো লিখেছেন, হযরত সায়্যিদুনা সাঈদ বিন জুবায়ের (রাদ্বীআল্লাহু তা' লা আনহু) হতে বর্ণিত, ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা'আলা, এমন এক সম্প্রদায়কে আজাবে লিপ্ত করিয়েছেন, যারা নিজেদের লজ্জাস্থানকে অবৈধ পন্থায় ব্যবহার করেছিল। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(রুহুল মায়ানী,সূরা- আল মুমেনুন,আয়াত-০৩ </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>,পারা-১৮,খন্ড -৯ম,পৃষ্ঠা </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>১৬)</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>★ হযরতে সায়্যিদুনা আবু দারদা রাদ্বিআল্লাহু তা'লা আনহু বলেন,"ক্ষনিকের জন্য শাহওয়াতের যৌন উত্তেজনা মিঠানোর জন্যে তার অনুসরণ করা দীর্ঘ অস্থিরতার কারণ হয়। প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা। আমার এ লিখা গোপনে" নিলর্জ্জতার কাজ যারা করে, তাদের জন্য লজ্জার পয়গাম স্বরূপ হবে বলে আমি মনে করি।হাদীস শরীফে হস্ত মৈথুন কারীকে মালউন অভিশপ্ত বলা হয়েছে এবং তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের বেদনা দায়ক শাস্তি । এ কাজে পরকালও তার যেমন নষ্ট হয়ে যায় এবং ইহকালেও তার জন্য প্রচুর ক্ষতির কারণ </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>হয়ে যায়। </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>স্বভাবগত অভ্যাস দ্বারা তারা স্বাস্থ্যও ভেন্ঙ্গে পড়ে নস্ট হয়ে যায় কারণ এ কাজ এক বার করার পর বার বার পূনরায় সে কাজ করতে ইচ্ছে হয়।কয়েক বার সে কাজ করলে পুরুষাঙ্গে ফুলি চলে আসে এবং সে ও পুরুষ অঙ্গের নরম ও সূক্ষ রগসমূহ বার বার হাতে ঘর্ষনে ডিলে হয়ে যায় এবং পুরুষাঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে।অবশেষে অবস্থা এ পর্যায়ে গিয়ে দাড়ায় যে,কোন নারীর প্রতি সামান্য কু দৃষ্টিপাত করলে কিংবা কোন নারীকে জল্পনা কল্পনা করলে সাথে সাথে বীর্য বের হয়ে পড়ে।এমন কি কাপড়ের সাথে পুরুষ অন্ঙ্গ ঘর্ষনের ফলেও বীর্য বের হয়ে যায় </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>বীর্য সে রক্ত থেকে সৃষ্টি হয়,যা সমস্ত শরীরে খাদ্য পৌছানোর পর অবশিষ্ট থাকে। যখন প্রচুর পরিমানে বীর্য নির্গিত হতে থাকে তখন রক্ত সমস্ত শরীলে কীভাবে খাদ্য পৌছাবে?ফলশ্রুতি </b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>তে শরীরের যাবতীয় কার্যক্রম লন্ডবন্ড হয়ে যায় সাথে হস্ত মৈথুন করলে অর্থাৎ নিজে নিজ হাত দ্বারা বীর্যপাত করলে এ কাজে ছাব্বিশ টি শারীরিক মারাত্মকভাবে ক্ষতি ওহ হয়! যেমন :</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(1)মন দূর্বল হয়ে পড়ে।</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(2)পাকস্থলী</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(3)যকৃত এবং</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(4)হৃৎপৃন্ড নষ্ট হয়।</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(5)দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়।</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(6)কানে শু শু আওয়াজ অনূভূত হয়।</b></span></div> <div dir="ltr" style="color: #38761d;"> <span style="font-size: large;"><b>(7)সর্দা মেজাজ খিটখিটে থাকে।</b></span></div> <div dir="ltr"> </div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(8)সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর কাহিল হয়ে পড়ে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(9)শরীরের জুড়ায় জুড়ায় ব্যাথা অনুভূত হয়, এবং চোখে ঝাপসা দেখে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১০) বীর্য পাতলা হয়ে যায় যার কারণে সর্বদা সামান্য সামান্য বীর্য নির্গত হতে থাকে। প্রস্রাবের নালীতে বীর্য জমে থাকে। যার ফলে দূরগন্ব্দের সৃষ্টি হয় ফলে প্রস্রাবের নালীতে ক্ষত হয়ে যায়। এবং ক্ষত স্হান থেকে রক্ত পূঁজ বের হয়। প্রথমে প্রথমে প্রস্রাবের সময় সামান্য সামান্য জ্বালা যন্ত্রণা করে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১১) পরবর্তী প্রস্রাব সাথে পুঁজ বের হয়।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১২) অতঃপর প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১৩) এমনকি গলোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন এমনি তিক্ত করে তোলে যার ফলে মানুষ মৃত্যু কে আহবান করতে থাকে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১৪) বীর্য পাতলা যাওয়ার কারণে কোন জল্পনা কল্পনা ব্যতীত প্রস্রাবের আগে বা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য বের হতে থাকে একে প্রমেষ রোগ বলা হয় এবং নতুন নতুন কঠিন কঠিন রোগ বালাই সৃষ্টি হয় শরীলে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১৫) মেরুদন্ড দূর্বল হয়ে পরে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১৬) পুরুষ অন্ঙ্গ আকারে ছোট আঁকা বেকা হয় ও আগা মোটা গুড়া চিকন বা গুড়া মোটা আগা চিকন বিকল দূর্বল হয়ে যায় যার কারণে বিয়ে করতে ভয় পারে না বা ভয় পায়।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১৭) যার কারণে বিবাহের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১৮) যদিও বিয়ে করে স্ত্রী সাথে মিলন করার ক্ষেত্রে সফল হয়না আর হলেও বীর্য পাতলা হবার কারণে সন্তান সন্ততি জন্ম হয়না ফলে নিঃসন্তান থেকে যায়।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(১৯) কোমরে ব্যথা করে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(২০) চেহেরা হলুদ বর্ণ ধারণ করে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(২১) শরীল দিন দিন ক্ষীন যায় স্বাস্থ্যওহ ভেঙে যায়।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(২২) টাইফয়ড রোগে আক্রান্ত হয়।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(২৩) মস্তিষ্ক বিকল হয়ে পরে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(২৪) মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(২৫) এমনকি পাগল হয়ে যাবার ওহ কারণ হয়ে দারায়।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">(২৬)</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় যে, যখন এক হাজার টাইয়ফড উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হল তখন দেখা গেল যে, তাদের মধ্যে ৪১৪ জন হস্ত মৈথুন, ১৮৬ জন অধিক অবৈধ যৌন মিলনের কারণে টাইয়ফড রোগে আক্রান্ত হয় এবং ১২৪ জন পাগলের উপরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় তাদের মধ্যে ২৪ জন অধিক হস্ত মৈথুন করার কারণে পাগল হয়েছিল।</span></b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="font-size: large;"><b><span style="color: #783f04;">( জান্নাতে দুইটি কুন্জি,পৃষ্ঠা ১৪১/১৪২)</span></b></span></div> <br /> </div>

হস্ত মৈথুন এর কুফল ও ক্ষতিকর দিকগুলোঃ

লেখক - মাদানী শাহ্ হস্ত মৈথুন! অর্থাৎ নিজ হাত দ্বারা নিজে নিজের বীর্যপাত করা।  বর্তমান সময়ে যুব সমাজ ধ্বংসের অন্যতম একটি মারাত্মক...

আরও পড়ুন »

সকল মুসলিম উম্মাহ এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ (Important sms for every Muslim ummah)

<p dir="ltr"><b><i>♦একটু সময় নিয়ে পড়ুন, শেয়ার করুন, মানুষের ইমান বাচাঁনঃ</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>"আপনারা প্রায়ই দেখে থাকবেন আপনার কোন এক ফ্রেন্ড আপনাকে মেসেজ করেঃ </i></b><br> <b><i>- যাতে আল্লাহর কয়েকটা নাম থাকে।</i></b><br> <b><i>- কালেমা অথবা দোয়া থাকে। </i></b><br> <b><i>- আর লেখা থাকে এই মেসেজটা ২০ জনকে পাঠান, তাহলে আগামীকাল ১/৩/৫টি সুসংবাদ পাবেন। ১০০% গ্যারান্টি.! </i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦ এতে মারাত্মক পাপঃ</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>আপনি কি জানেন এটা হতে পারে মূর্খ জ্ঞানহীন মানুষ যারা তাবলিগের নামে সওয়াব করতে গিয়ে আরো গোনাহ করে ফেলে। অথবা ইহুদী খৃষ্টানদের চক্রান্ত যারা মুসলমানদের ইমান ধবংশ করতে চায়? </i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>- মুসলমানদের তকদীরে বিশ্বাস করা ফরজ তাই কোন ব্যক্তি যদি নিশ্চিত সুসংবাদ পাবে বলে দেয় তাহলে ভাগ্যে বিশ্বাস করলেন না, আর এতে আপনার ইমান হারানোর আশংকা রয়েছে।</i></b><br> <b><i>- কেউ গনকের কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চাইলে যেমন তার ৪০ দিনের ইবাদত কবুল হবে না। (আল-হাদিস) তেমনি আগামীকাল সুসংবাদ পাবেন এটাতেও বিশ্বাস করা যাবে না তাতে ইবাদত নষ্ট হওয়ার আশংকা আছে।</i></b><br> <b><i>- ওরা চায় আল্লাহর নামের উপর থেকে মুসলমানরা যেন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। কারণ কালকে যদি আপনি ১/৩/৫ টি সুসংবাদ না পান, তবে আল্লাহর নামের উপর থেকে আপনার আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। আর আল্লাহর নামের উপর থেকে আস্থা নষ্ট হওয়া মানেই কাফের হয়ে যাওয়া ! </i></b><br> <b><i>- এটা এক প্রকার মন্দ বিদআত তথা বিদআতে সাইয়্যার অন্তর্ভুক্ত পাপ।</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦ তাই সাবধান হোন, অন্যকে সাবধান করুন ! আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন ! এই পোস্ট টা সর্বাধিক শেয়ার করে সবার কাছে পৌঁছে দিন। কারণ আপনার একটা শেয়ারের কারণেই অনেকের ঈমান বেঁচে যাবে।</i></b><br> <b><i>Answered By →</i></b><br> <b><i>★ Masum Billah Sunny</i></b><br> <b><i>★ www.sunni-encyclopedia.blogspot.com</i></b></p>

সকল মুসলিম উম্মাহ এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ (Important sms for every Muslim ummah)

♦একটু সময় নিয়ে পড়ুন, শেয়ার করুন, মানুষের ইমান বাচাঁনঃ "আপনারা প্রায়ই দেখে থাকবেন আপনার কোন এক ফ্রেন্ড আপনাকে মেসেজ করেঃ - যাতে আল্লা...

আরও পড়ুন »

নবীজীর বিদায় হজ্জের ভাষণ

<p dir="ltr"><br>بسم الله الرحمن الرحيم<br>বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দশম হিজরি,৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যে হজ্ব পালন করেন, ইসলামের ইতিহাসে তা ‘হজ্জাতুল বিদা’ বা ‘বিদায় হজ্ব’ নামে খ্যাত। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফাতের বিশাল ময়দানে উপস্থিত প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার বা প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার সাহাবীর সম্মুখে জীবনের অন্তিম ভাষণ দান করেন, যা বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের 'বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণ' নামে পরিচিত। </p><p dir="ltr">১০ম হিজরীর যুলক্বা‘দাহ মাসের চারদিন বাকী থাকতে শনিবার যোহরের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় লক্ষাধিক সাহাবীর এক বিরাট দল সমভিব্যাহারে মদীনা হ’তে মক্কার পথে হজ্ব আদায়ের জন্যে রওয়ানা হ’লেন। অনবরত আট দিন পথ চলার পর যিলহজ্ব মাসের ৪ তারিখ রোজ শনিবার মক্কা মুয়াজ্জামায় প্রবেশ করেন, ৮ জিলহজ সাহাবিদের সঙ্গে নিয়ে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিনায় চলে গেলেন। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে আয়োজিত হয় বিশ্বমানবতায় এক মহাসমাবেশ। ওই দিনটি ছিল ইসলামের গৌরবময় ও সুউচ্চ মর্যাদা বিকাশের দিন, যার ফলে প্রাক-ইসলামি অন্ধকার যুগের যাবতীয় কুসংস্কার ও অহেতুক কাজকর্ম বিলুপ্ত হয়ে গেল।</p><p dir="ltr">এ দিন ছিল শুক্রবার, ভোরে নামায আদায় করে মিনা থেকে আরাফাতের দিকে রওনা হলেন। লাখো কণ্ঠের গগনবিদারী ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে দুই পাশের পর্বতমালা কেঁপে উঠল। আরাফাহ ময়দানের পূর্বদিকে নামিরা নামক স্থানে তাঁবু স্থাপন করা হলে, সেখানে পৌঁছে দুপুর পর্যন্ত তথায় তাঁবুতে অবস্থান করেন। জুমার সালাত আদায় করে তিনি ‘কচয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহন করে আরাফা’র সন্নিকটে ‘আরনা’ প্রান্তরে উপস্থিত হয়ে এ  বিশাল সমাবেশে তাঁর ঐতিহাসিক বিদায় হজ্বের খুতবা বা ভাষণ প্রদান করেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভাষণ ছিল মূলত আল্লাহর দ্বীনের বিজয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা। আর তাই তো সেদিন নাযিল হয়েছিল “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নে‘মতকে পরিপূর্ণ করলাম আর ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (সুরা মায়েদা, আয়াত-৩)। </p><p dir="ltr">দীর্ঘ ২৩ বছরে কঠিন সাধনা আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান স্রষ্টার ইচ্ছার স্বরূপে আরব জাহানকে গড়ে তুলেছিলেন। আরাফাত ময়দানে বিদায় হজ্বের ভাষণে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল ইসলামের সেই মর্মবানী। ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ছিল। ইসলাম ধর্ম যে ধাপে ধাপে ও পর্যায়ক্রমে পূর্ণতা পেয়েছিলো, তারই চূড়ান্ত ঘোষণা ছিলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভাষণ। </p><p dir="ltr">এ ভাষণে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছিলো। মুসলিম জাতির সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল উপাসনামূলক অনুশাসন ছিলো না, বরং মানবসমাজের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও এতে ছিলো। </p><p dir="ltr">আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, তাঁর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সাম্য ইত্যাদি সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম সব বিষয়ই এই ভাষণের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই ভাষণে তাকওয়া  বা দায়িত্বনিষ্ঠতার কথা গুরুত্ব দেয়া হয়েছিলো এবং পাপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছিলো। আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল্লাহ ও মানবসম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল ইবাদের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিলো তাঁর এ ভাষনে। </p><p dir="ltr">হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভাষণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অরাজকতা, বিদ্রোহ এবং কুপরামর্শ প্রদানকারী শয়তানদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই ভাষণে বিভিন্ন ধরণের সুদপ্রথা রহিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এই ভাষণে। মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন, বিশেষ করে রক্তের সম্পর্কের উপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ ও সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি লাভের ওপর জোর দেয়া হয়েছিলো। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বর্গ-মর্তের সকল কিছুর ওপর আল্লাহর কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছিলো এবং মানুষকে এসব কিছুর আমানতদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর মালিকানায় সবার অধিকার স্বীকৃত বলে উত্তরাধিকার আইনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়। আমানতের খেয়ানতকারীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা ও মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব এবং বদান্যতা ও মানবতার পরম ধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো।<br> <br>আরাফাতের ময়দানের উক্ত ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেন,</p><p dir="ltr">(১) ‘হে জনগণ! তোমরা আমার কথা শোন! কারণ আমি হয়তো এরপর তোমাদের সঙ্গে এই স্থানে আর মিলিত হবনা’।[দারেমী হা/২২৭, ফিক্বহুস সীরাহ পৃঃ ৪৫৬, সনদ ছহীহ।]</p><p dir="ltr">(২) ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্ভ্রমকে তোমাদের পরস্পরের উপরে এমনভাবে হারাম, যেমনভাবে আজকের এই দিন, এই মাস, এই শহর তোমাদের জন্য হারাম’ (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম) ।</p><p dir="ltr">(৩) ‘শুনে রাখ, জাহেলী যুগের সকল কিছু আমার পায়ের তলে পিষ্ট হ’ল। জাহেলী যুগের সকল রক্তের দাবী পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের রক্ত সমূহের প্রথম যে রক্তের দাবী আমি পরিত্যাগ করছি, সেটি হ’ল রাবী‘আহ ইবনুল হারেছ-এর শিশু পুত্রের রক্ত; যে তখন বনু সা‘দ গোত্রে দুগ্ধ পান করছিল, আর হোযায়েল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করেছিল’।</p><p dir="ltr">(৪) “জাহেলী যুগের সূদপ্রথা পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের সূদ সমূহের প্রথম যে সূদ আমি পরিত্যক্ত বলে ঘোষনা দিচ্ছি সেটা হ’ল আববাস ইবনু আব্দিল মুত্ত্বালিবের পাওনা সূদ। সূদের সকল প্রকার কারবার সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত করে দেওয়া হ’ল।”</p><p dir="ltr">(৫) ‘তোমরা মহিলাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদেরকে হালাল করেছ। তাদের উপর তোমাদের প্রাপ্য হ’ল, তারা যেন তোমাদের বিছানা এমন কাউকে মাড়াতে না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। যদি তারা সেটা করে, তবে তোমরা তাদের মৃদু প্রহার করবে, যা গুরুতর হবে না। আর তোমাদের উপরে তাদের প্রাপ্য হক হ’ল, তোমরা যেন তাদের জন্য সুন্দর রূপে খাদ্য ও পরিধেয়ের যোগান দাও।</p><p dir="ltr">(৬) ‘আর জেনে রাখ, আমি তোমাদের মাঝে রেখে যাচ্ছি এমন এক বস্ত্ত, যা মযবুতভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। আর সেটি হ’ল আল্লাহর কেতাব’।[মুসলিম হা/১২১৮, মিশকাত হা/২৫৫৫ ‘মানাসিক’ অধ্যায়।]</p><p dir="ltr">(৭) ‘হে জনগণ! শুনে রাখ আমার পরে কোন নবী নেই এবং তোমাদের পরে আর কোন উম্মাত নেই। অতএব তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় কর, রামাযান মাসের রোযা রাখো, সন্তুষ্ট চিত্তে তোমাদের মালের যাকাত দাও, তোমাদের প্রভুর গৃহে হজ্জ আদায় কর, তোমাদের শাসকদের আনুগত্য কর, এ সবের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ কর’।[ত্বাবারাণী, আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩২৩৩।]</p><p dir="ltr">(৮) আর তোমরা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। তখন তোমরা কি বলবে? লোকেরা বলল, আমরা সাক্ষ্য দেব যে, আপনি সবকিছু পৌছে দিয়েছেন, দাওয়াতের হক আদায় করেছেন এবং উপদেশ দিয়েছেন’। অতঃপর তিনি শাহাদাত অঙ্গুলি আসমানের দিকে উঁচু করে ও সমবেত জনমন্ডলীর দিকে নীচু করে তিনবার বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক’।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৫৫৫।]</p><p dir="ltr">ইসলামের পূর্ণাঙ্গতার সনদ নাযিল : <br>------------------------------------<br>সারগর্ভ ও মর্মস্পর্শী বিদায়ী ভাষণ শেষে আল্লাহর পক্ষ হ’তে নাযিল হয় এক ঐতিহাসিক দলীল, ইসলামের পূর্ণতার সনদ, যা ইতিপূর্বে নাযিলকৃত কোন এলাহী ধর্মের জন্য নাযিল হয়নি। ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নে‘মতকে পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (মায়েদাহ-৩)। </p><p dir="ltr">রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে এই আয়াত শ্রবণ করে ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহু কেঁদে উঠলেন। অতঃপর লোকদের প্রশ্নের জওয়াবে বললেন, ‘পূর্ণতার পরে তো কেবল ঘাটতিই এসে থাকে’।[আর-রাহীক্ব পৃঃ ৪৬০; আল-বিদায়াহ ৫/২১৫।] </p><p dir="ltr">বস্তুতঃ এই আয়াত আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের আভাস, এ আয়াত নাযিলের মাত্র ৮১ দিন পর তিনি ওফাত লাভ করেন। এই আয়াত প্রসঙ্গে জনৈক ইহুদী পন্ডিত হযরত ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, যদি এরূপ আয়াত আমাদের উপর নাযিল হ’ত, তাহ’লে আমরা ঐদিনটিকে ঈদের দিন হিসাবে উদযাপন করতাম’। জওয়াবে ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ঐদিনে একটি নয়, বরং দু’টি ঈদ একসঙ্গে উদযাপন করেছিলাম।- (১) ঐদিন ছিল শুক্রবার, যা আমাদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন (২) ঐদিন ছিল ৯ই যিলহাজ্জ আরাফাহর দিন। যা হ’ল উম্মতের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বার্ষিক ঈদের দিন’।[তিরমিযী হা/৩০৪৪, সনদ ছহীহ।]</p><p dir="ltr">মিনায় ২য় ভাষণ: <br>------------------<br>সুনানে আবুদাঊদের বর্ণনা অনুযায়ী ১০ই যিলহাজ্জ কুরবানীর দিন সকালে সূর্য উপরে উঠলে[আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৬৭১।] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি সাদা-কালো মিশ্রিত বাহনে সওয়ার হয়ে (কংকর নিক্ষেপের পর) জামরায়ে আক্বাবায় এক ভাষণ দেন। </p><p dir="ltr">ছহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে যে, এদিনে তিনি বলেন, </p><p dir="ltr">(১) হে জনগণ! তোমরা আমার নিকট থেকে হজ্জ ও কুরবানীর নিয়ম-কানূন শিখে নাও। কারণ আমি এ বছরের পর আর হজ্জ করতে পারব না’।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৬১৮।] তিনি আরও বলেন, </p><p dir="ltr">(২) ‘কালচক্র আপন রূপে আবর্তিত হয়, যেদিন থেকে আসমান ও যমীন সৃষ্টি হয়েছে। বছর বারো মাসে হয়। তারমধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। তিনটি পরপর, যুলক্বা‘দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররম এবং রজবে মুদার’[মুদার গোত্রের দিকে সম্পর্কিত করে ‘রজবে মুদার’ বলা হয়েছে।] হ’ল জুমাদা ও শা‘বানের মধ্যবর্তী।[বুখারী হা/১৭৪১ ‘মিনায় ভাষণ’ অনুচ্ছেদ; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৬৫৯।] অতঃপর তিনি বলেন, </p><p dir="ltr">(৩) এটি কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। অতঃপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ভাবলাম হয়ত তিনি এর পরিবর্তে অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেন, এটা কি যুলহিজ্জাহ নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। অতঃপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ভাবলাম হয়ত তিনি এর পরিবর্তে অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেন, এটা কি মক্কা নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আজ কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। অতঃপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ভাবলাম হয়ত তিনি এর পরিবর্তে অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেন, আজ কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, জেনে রেখ, তোমাদের রক্ত, তোমাদের মাল-সম্পদ, তোমাদের ইয্যত তোমাদের উপর এমনভাবে হারাম যেমনভাবে তোমাদের আজকের এই দিন, এই শহর, এই মাস তোমাদের জন্য হারাম (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম)।</p><p dir="ltr">(৪) ‘সত্বর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে। অতঃপর তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। সাবধান! আমার পরে তোমরা পুনরায় ভ্রষ্টতার দিকে ফিরে যেয়ো না এবং একে অপরের গর্দান মেরো না বা হত্যা করোনা।</p><p dir="ltr">(৫) ‘ওহে জনগণ! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? লোকেরা বলল, হাঁ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক। উপস্থিতগণ যেন অনুপস্থিতগণকে কথাগুলি পৌঁছে দেয়। কেননা উপস্থিত শ্রোতাদের অনেকের চাইতে অনুপস্থিত যাদের কাছে এগুলি পৌঁছানো হবে, তাদের মধ্যে অনেকে অধিক বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছে’।[বুখারী হা/১৭৪১ ‘মিনায় ভাষণ’ অনুচ্ছেদ; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৬৫৯।] <br>অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, উক্ত ভাষণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  আরও বলেছিলেন,</p><p dir="ltr">(৬) ‘মনে রেখ, অপরাধের শাস্তি অপরাধী ব্যতীত অন্যের উপরে বর্তাবে না। মনে রেখ, পিতার অপরাধের শাস্তি পুত্রের উপরে এবং পুত্রের অপরাধের শাস্তি পিতার উপরে বর্তাবে না’।</p><p dir="ltr">(৭) মনে রেখ, শয়তান তোমাদের এই শহরে পূজা পাওয়া থেকে চিরদিনের মত নিরাশ হয়ে গেছে। তবে যেসব কাজগুলিকে তোমরা তুচ্ছ মনে কর, সেসব কাজে তার আনুগত্য করা হবে, আর তাতেই সে খুশী থাকবে’।[তিরমিযী হা/২১৫৯; ইবনু মাজাহ হা/২৭৭১ ‘হজ্জ’ অধ্যায়; মিশকাত হ/২৬৭০।]</p><p dir="ltr">এদিন তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে আরও বলেন,  ‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি বস্ত্ত রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা তা শক্তভাবে ধারণ করে থাকবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। একটি আল্লাহর কিতাব, অপরটি তাঁর নবীর সুন্নাত’।[মুওয়াত্ত্বা মালেক, মিশকাত হা/১৮৬।]</p><p dir="ltr">খুম কূয়ার নিকটে ভাষণ: <br>----------------------<br>হজ্জ থেকে ফেরার পথে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী ‘খুম’ নামক কূয়ার নিকটে যাত্রাবিরতি করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। যাতে তিনি নবী পরিবারের উচ্চ মর্যাদা ব্যাখ্যা করেন। অতঃপর হযরত আলীর হাত ধরে বলেন, ‘আমি যার বন্ধু, আলীও তার বন্ধু’।[আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৬০৮২, ছহীহাহ হা/১৭৫০।]    <br>                           وصلى الله وسلم على سيدنا محمد وعلى آله وصحبه اجمعين</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-qGfcIocvdPk/WbedN7vZihI/AAAAAAAAA-g/vyi53UckBd8snNODdvSjO8Y8BVcyDcxwgCHMYCw/s1600/Arafa-Top20150923060456.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" src="https://lh3.googleusercontent.com/-qGfcIocvdPk/WbedN7vZihI/AAAAAAAAA-g/vyi53UckBd8snNODdvSjO8Y8BVcyDcxwgCHMYCw/s640/Arafa-Top20150923060456.jpg"> </a> </div>

নবীজীর বিদায় হজ্জের ভাষণ

بسم الله الرحمن الرحيم বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দশম হিজরি,৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যে হজ্ব পালন করেন, ইসলামের ...

আরও পড়ুন »