নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা’র তারাবীহ
রমযানের যে তারাবীহ নামায রয়েছে, সেটা মূলত হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হতেই এসেছে। অর্থাৎ, তারাবীহ নামায পড়ার শিক্ষা স্বয়ং হুজুর পূর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা’ই সাহাবায়ে কিরামকে দিয়েছেন। এজন্যই তারাবীহ আদায় করা সুন্নাত। এখন প্রশ্ন জাগে যে, নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা কত রাকা’ত তারাবীহ পড়তেন ? এর উত্তরের জন্য আমাদেরকে
দ্বারস্থ হওয়া লাগবে হুজুরের হাদিসের। তাই আসুন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা’এর হাদিসের আলোকে আমরা এর জবাব জেনে নিই।

প্রথম হাদীস-

ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সম্মানিত ওস্তাদ ইমাম আবু বকর ইবনে আবী শায়বাহ
রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ‘মুসান্নাফে’ বর্ণনা করেন –

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻳَﺰِﻳﺪُ ﺑْﻦُ ﻫَﺎﺭُﻭﻥَ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻧَﺎ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﺑْﻦُ ﻋُﺜْﻤَﺎﻥَ، ﻋَﻦِ
ﺍﻟْﺤَﻜَﻢِ، ﻋَﻦْ ﻣِﻘْﺴَﻢٍ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻭَﺍﻟْﻮِﺗْﺮَ

অনুবাদ:
নিশ্চয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে বিশ রাকাত তারাবীহ ও বিতর আদায় করতেন।
সূত্র: মুসান্নাফে আবী শায়বাহ, কিতাবুস সালাত

( ﻛَﻢْ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﺭَﻛْﻌَﺔٍ )

, হাদীস নম্বর-৭৬৯২/৭৫২০, তাবরানী আল মু’জামুল আওসাত-৭৯৮, মু’জামুল কবীর, ১১:৩৯৩ হাদীস-১২১০২, বায়হাক্বী আস সুনানুল কুবরা-৪২৮৬, আলমুনতাখাব মিন মুসনাদি
আবদ ইবনে হুমাইদ-৬৫৩/৬৬০।

ওপরোক্ত হাদীস সংশ্লিষ্ট আলোচনা
আলোচ্য হাদীসের সনদে ইবরাহীম বিন উসমান আবু শায়বাহ নামের একজন রাবী আছেন, যিনি মুহাদ্দিসীনে কেরামের মতে দুর্বল। তবে তিনি অতোটা দুর্বল পর্যায়েরও নন যে তাঁর বর্ননা ছেড়ে দিতে হবে। কেননা, কোনো কোনো মুহাদ্দিস আবার তাঁকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন। ইমাম শো’বা বিন হাজ্জাজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ১৬০ হিজরী) তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
সূত্র: আসকালানী প্রণীত তাহযিবুত তাহযিব, ১:১৩৬, আল মিযযি, তাহযিবুল কামাল ফি আসমায়ির রিজাল ১:২৬৮।
আহলে হাদীস তথা গায়রে মুকাল্লিদদের তথা মাযহাব অস্বীকারকারীদের নীতি হলো যে, ইমাম শো’বা ওই বর্ণনাকারী হতে হাদীস বর্ণনা করেন, যিনি উপস্থিত ও তাঁর হাদীস সহীহ হয়।
সূত্র: শওকানী কৃত নায়লুল আওত্বার ১:১৬।
এমনিভাবে যে সকল নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিসে কেরাম বিশ রাকা’ত তারাবীহর বর্ণনা গ্রহণ করেছেন, তাঁদের কাছে তা গ্রহণীয় ছিল; নচেৎ তাঁরা এতে একমত হতেন না। ইমাম আদি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আবু শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ব্যাপারে বলেন –

ﻟﻪ ﺃﺣﺎﺩﻳﺚ ﺻﺎﻟﺤﺔ

অনুবাদ:
তাঁর (ইবরাহীম বিন উসমান আবু শায়বাহ বর্ণিত) হাদীসসমূহ যথাযথ।
সূত্র: তাহযীবুল কামাল ১:৩৯৩/ ২:১৫১।
ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি‘এর দাদা উস্তাদ (উস্তাদ-এর উস্তাদ)
ইয়াযিদ বিন হারূন রহমাতুল্লাহি আলাইহি, যিনি আবু শায়বার সময়ে বিচারালয়ে তাঁর লেখক ও মুনশি
ছিলেন, তিনি তাঁর প্রশংসায় বলেন –

ﻣﺎ ﻗﻀﻰ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺭﺟﻞ، ﻳﻌﻨﻲ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻧﻪ ﺃﻋﺪﻝ ﻓﻲ
ﻗﻀﺎﺀ ﻣﻨﻪ

অনুবাদ:
তাঁর বিচারাধীন সময়ে, অর্থাৎ, তিনি বিচারক থাকাকালীন সময়ে তাঁর থেকে অতি ন্যায়পরায়ণ বিচারক কেউ ছিলেন না।
সূত্র: তাহযীবুল কামাল ফি আসমায়ির রিজাল ২:১৫১।
ইবনে আদি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ব্যাপারে আরও বলেন –

ﻭﻫﻮ ﻭﺇﻥ ﻧﺴﺒﻮﻩ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻀﻌﻒ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢ ﺑْﻦ ﺃَﺑﻲ ﺣﻴﺔ
অনুবাদ:
তিনি দুর্বলতার ক্ষেত্রে ইবরাহীম বিন আবী হায়্যাহ হতে উত্তম ছিলেন।
সূত্র: তাহযীবুল কামাল ফি আসমায়ির রিজাল ২:১৫১।
আর ইবরাহীম বিন আবী হায়্যাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর ব্যাপারে ইয়াহিয়া বিন মুঈন বলেন, তিনি নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন এবং বড়ই নির্ভরযোগ্য ছিলেন।
সূত্র: লিসানুল মীযান, ১:৫২, বর্ণনা নং- ১২৭।
যেহেতু ইবরাহীম বিন আবী হাইয়াহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি নির্ভরযোগ্য ছিলেন, সুতরাং আবু শায়বাহ তাঁর থেকেও অধিক নির্ভরযোগ্য হবেন। ইমাম শো’বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস হিসেবে সকলের কাছে বরেণ্য। তাঁর হাদীস গ্রহণে সতর্কতা ও কাঠিন্য দেখার মতো। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি অমুকের বর্ণনা কেন গ্রহণ করেন
না? জবাবে তিনি বলেন, আমি তাঁকে তুর্কি ঘোড়া দৌড়াতে দেখেছি। একবার তিনি মিনহাল বিন আমরের ওখানে গেলেন, সেখানে তিনি বাদ্যযন্ত্রের শব্দ পেলেন, অতঃপর সেখান থেকে কোনো বর্ণনা গ্রহণ না করেই তিনি ফিরে আসেন। হাকাম বিন উতাইবাহ‘কে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি জা’যান হতে বর্ণনা গ্রহণ করেন না কেন ? উত্তরে বলেন, তিনি কথা বেশি বলেন, অর্থাৎ, বাঁচাল প্রকৃতির।
হাফেজ জরীর বিন আব্দুল হুমায়দ আল কুফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সিমাক বিন হারব-কে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে দেখলে তাঁর থেকে বর্ণনা নেয়া বাদ দেন।
সূত্র: খতীব বাগদাদী কৃত আল-কাফিয়াহ ফি উলূমির রিওয়ায়া ১০১পৃ:।
লক্ষ্য করলেই বোঝা সম্ভব যে, এটা কি জরহ (হাদীস নিরীক্ষণ)-এর পদ্ধতি ? যার দ্বারা বড় বড় হাদীস বিশারদ এই বর্ণনাকারীদের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ ও শিক্ষা ছেড়ে দিয়েছিলেন। যদি এই ধরণের নিরীক্ষণের মাধ্যমে বর্ণনাকারী ত্যাগ করা হয়, তবে রইল কারা। এই জন্য শুধুমাত্র জরহ দেখেই উত্তেজিত হওয়া উচিত নয়। জেনে নেয়া উচিত জরহ-এর পদ্ধতি কেবল শরয়ী বিধানের ক্ষেত্রেই কঠিন রাখা হয়। আর কাঠিন্যের জন্য এটা যথেষ্ট নয়, বরং আরও কিছু পদ্ধতি যোগ হয়। আর তাঁর (আবু শায়বাহ ) থেকে বহু মুহাদ্দিসীনে কেরাম হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং নিশ্চুপ থেকেছেন। আর
তাঁর মতন ভিন্ন হাদীস ও সাহাবা কেরামের আমলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

দ্বিতীয় হাদীস-

ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﻔﻀﻞ ﻋﺒﻴﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺰﻫﺮﻱ , ﻧﺎ
ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻫﺎﺭﻭﻥ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﺍﻟﺮﺍﺯﻱ , ﻧﺎ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ,
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﻋﻄﺎﺀ , ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺘﻴﻚ , ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ , ﺃﻥ
ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ” ﺧﺮﺝ ﻟﻴﻠﺔ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻓﺼﻠﻰ
ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﺃﺭﺑﻌﺔ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ” . ﻭﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﺑﻦ ﺣﻴﻮﻳﻪ , ﻋﻦ
ﺍﺑﻦ ﺍﻟﻤﺠﻠﺪ , ﻭﺯﺍﺩ : ﻭﺃﻭﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ

অনুবাদ:
হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র রমজানের এক রাতে বাইরে আগমন করলেন এবং লোকদের ২৪ রাকা’ত (চার রাকা’ত ইশা ও বিশ রাকা’ত তারাবীহ) পড়ালেন। আর ইবনে হাবিয়্যাহ ইবনে মুজাল্লাদ হতে অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন, আর তিন রাকা’ত বিতর পড়ালেন।
সূত্র: আবু তাহির আস সালাফী রচিত আত তাসী’য়ু মিন মাশীখাতিল বাগদাদিয়্যাহ, বর্ণনা নং-২৭/২২৩।

তৃতীয় হাদীস-

ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻗَﺎﻝَ ﺧَﺮَﺝَ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠَّﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﺫَﺍﺕَ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻓَﺼَﻠَّﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُّ ﺃَﺭْﺑَﻌَﺔً ﻭَﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﺭَﻛْﻌَﺔً
ﻭَﺃَﻭْﺗَﺮَ ﺑِﺜَﻼﺛَﺔٍ

অনুবাদ:
হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র রমজানের এক রাতে তাশরীফ আনলেন এবং লোকদের চার রাকা’ত ফরজ, বিশ রাকা’ত তারাবীহ ও তিন রাকা’ত বিতর পড়ালেন।
সূত্র: তারিখে জুরজান ১:৩১৭/১:২৭৬, বর্ণনা নং-৫৫৬।

চতুর্থ হাদীস-

ﺣَﺪِﻳﺚُ ﺃَﻧَّﻪُ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺻَﻠَّﻰ ﺑِﺎﻟﻨَّﺎﺱِ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ
ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻟَﻴْﻠَﺘَﻴْﻦِ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻠَّﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔِ ﺍﺟْﺘَﻤَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻓَﻠَﻢْ
ﻳَﺨْﺮُﺝْ ﺇﻟَﻴْﻬِﻢْ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻐَﺪِ ﺧَﺸِﻴﺖ ﺃَﻥْ ﺗُﻔْﺮَﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓَﻠَﺎ
ﺗُﻄِﻴﻘُﻮﻫَﺎ ﻣُﺘَّﻔَﻖٌ ﻋَﻠَﻰ ﺻِﺤَّﺘِﻪِ

অনুবাদ:
হুযুর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের বিশ রাকা’ত তারাবীহ পড়িয়েছেন। আর যখন তৃতীয় রাত উপস্থিত হলো এবং লোকেরা একত্রিত হলেন, তিনি তাঁর
হুজরা মুবারক হতে বের হননি। পরবর্তী দিন তিনি ইরশাদ করলেন, আমি আশংকা করছি যে এটা (তারাবীহ) আবার তোমাদের ওপর ফরজ না হয়ে যায়; আর তোমরা তা আদায় করতে অক্ষম হয়ে
পড়বে।
সূত্র: আসকালানী কৃত আত তালখীসুল হাবীর ২:২১/৫৩, বর্ণনা নং-৫৪০।

পরিশেষে, এই আলোচনার আলোকে আমরা নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে হুজুর পূর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ রাকা’ত তারাবীহ আদায় করতেন; এবং হুজুরের অনুসারী
হিসেবে সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়ীনে কিরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম-ও বিশ রাকা’ত তারাবীহ আদায়
করতেন। সুতরাং বোঝা গেল যে বিশ রাকা’ত তারাবীহ আদায় করাই মাসনূন তথা সুন্নাত। এর বাইরে আট রাকা’ত বা বারো রাকা’ত পড়ার কোনো সুযোগ নেই। কেননা, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সত্য উপলব্ধির তাওফিক দান করুন, আমীন; বি-হুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালিন (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)।

 
Top