ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) পালন বৈধ নাকি হারাম?

👉 ইমামুল আল্লামাহ নাসিরুদ্দীন মোবারক ইবনে বাতাহ (রহ) [৪র্থ শতাব্দীর প্রখ্যাত মুহাদ্দিস] স্বীয় ফতোয়ায় বলেন,

মহানবী (ﷺ) ওনার মিলাদুন্নবীর রাতে কোন ব্যক্তি কিছু অর্থকরি ব্যয় করলে এবং জনগনকে সমবেত করে তাদেরকে পানাহার করালে বা রাসূল (ﷺ) ওনার জন্ম সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহ এবং অলোকিক ঘটনা শুনালে তা যদি সব রাসূল (ﷺ) ওনার জন্মের প্রতি আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করার জন্য হয়ে থাকে তাহলে শরীয়ত মতে তা জায়েজ আর এসব কাজের জন্য সংশ্লীষ্ঠ কর্তাকে ছওয়াব প্রদান করা হয়,যদি তার উদ্দেশ্য ভাল হয়।
[আদ-দুররুল মুনাজ্জম ফী আমলে ওয়া হুকমে মাওলিদুন নাবীয়্যিল আযম-পৃষ্ঠা-নং-১৯৭-১৯৮]

👉 ইমাম জামাল উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল মালিক আল কাতানী (রহঃ) লিখেন,
রাসূল (ﷺ) এর জন্ম দিনে বা অন্য কোন সময়ে ওনার জন্ম কাহিনী ও ঘটনাবলী আলোচনা করা সম্মান, বুযুর্গী ও মাহাত্ব্য লাভের জন্য নাযাত লাভের কারণ এবং তার জন্ম দিনে যারা আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করে তাদের পরকালে শাস্তি হালকা ও কম হওয়ার কারণে পরিণত হয়।
[সুবুলুল হুদা ওয়ার রাসাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ-১ম খন্ড-পৃস্ঠা নং-৩৬৪]

👉 আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন উমর বাহরুক (রহ) ও খাজরামী শাফী (রহ) [মৃ:৮৬৯-৯৩০ হি:] ওনারা পবিত্র মিলাদুন্নবী (ﷺ) সম্পর্কে লিখেন-
এদিনের প্রকৃত অবস্থান হলো,যেহেতু এদিনে রাসূল (ﷺ) এর পবিত্র বেলাদত শরীফ সেহেতু এদিনে আনন্দ (ঈদ) উদযাপন করাই হচ্ছে প্রকৃত দাবী।
[হাদাইকুল আনোয়ার ওয়া মাতালিউল আসরার ফি সিরাতিন নাবিইয়িল মুখতার গ্রন্থের ৫৩-৫৮ পৃ:]

👉 ইমাম কাস্তালানী (রহঃ) (মৃত্যুঃ ৯২৩ হিজরী) বলেন :

“মহান আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে রহমত দান করুক যিনি রাসূল (ﷺ) মিলাদের মােবারক রজনীকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।”

[ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবু লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ১৪৮ পৃঃ]

👉 ইমাম যুরকানী (রহঃ) উল্লেখ করেন,

“মহান আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে রহমত দান করুক যিনি রাসূল (ﷺ) মিলাদের মােবারক রজনীকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।”
আর উক্ত রাত্রকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে এ জন্য যে, যাদের অন্তরে (নবী বিদ্বেষী) রোগ রয়েছে। তাদের (বিদ্বেষীদের) ঐ রোগ যেন আরো শক্ত আকার ধারণ করে এবং যন্ত্রণায় অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়।
— শরহে জুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ২৬২

👉 ইমাম আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ) বলেন-

যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত্রকে ঈদ হিসেবে পালন করে, তার উপর আল্লাহ তায়ালা রহমত নাযিল করেন। আর যার মনে হিংসা এবং [নবী (ﷺ) এর দুশমনির] রোগ রয়েছে, তার ঐ (নবী বিদ্বেষী) রোগ আরও শক্ত আকার ধারণ করে।
— মুহাদ্দিসে দেহলভীঃ মা সাবাতা বিসসুন্নাহ (উর্দু) পৃষ্ঠা নং-৮৬

 
Top