সর তা বকদম হ্যায় তনে সুলতানে যামান ফুল

[ইমাম আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা (رحمة الله)]


উচ্চারণ 


সর তা বকদম হ্যায় তনে সুলতানে যামান ফুল, 

লব ফুল, দাহান ফুল, যাকান ফুল, বদন ফুল ॥ 


সদকে মে তেরে বাগ তু কিয়া লায়ে হ্যায়ঁ বন ফুল, 

ইস গুনচায়ে দিল কো ভী তু ঈমা হাে কেহ বন ফুল ॥ 


তনকা ভী হামারে তু হিলায়ে নেহী হিলতা, 

তুম চাহাে তু হাে জায়ে আভী কোহে মেহান ফুল ॥ 


ওয়াল্লাহ্ জু মিল জায়ে মেরে গুলকা পসীনাহ্ 

মাঙ্গে না কাভী ইতুর না ফির চাহে দুলহান ফুল ।। 


দিল বস্তাহ ও খোঁ গশতাহ নাহ খােশবু নাহ্ লাত্বাফাৎ, 

কেউঁ গুনচাহ্ কহোঁ হ্যায় মেরে আক্বা কা দাহান ফুল ।। 


শাব ইয়াদ থী কিন দাঁতোঁ কী শাবনাম কেহ্ দমে সুবহ্, 

শওখানে বাহারী কে জড়া-ও হ্যাঁয় কিরণ ফুল ॥ 


দানদা-ন ও লব ও যুলফ্ ও রুখে শাহ্ কে ফেদায়ী, 

হ্যাঁয় দুররে আদন লা, লে ইয়ামান মুশকে খেতান ফুল ॥ 


বু হাে কে নেহাঁ হাে গ্যায়ে তারে রুখে শাহ্ মে, 

লও বন গ্যায়ে হ্যায়ঁ আব তু হাসীনাে কা দাহান ফুল ।। 


হোঁ বারে গুনাহ সে নাহ খজল দোশে আযীযাঁ 

লিল্লাহে মেরী না’শ কর আয় জানে চমন ফুল ॥  


হোঁ বারে গুনাহ সে নাহ খজল দোশে আযীযাঁ 

লিল্লাহে মেরী না’শ কর আয় জানে চমন ফুল ॥ 


দিল আপনা ভী শায়দায়ী হ্যায় উস না খুনে পা কা, 

ইতনা ভী মাহে নও পেহ্ নাহ্ আয় চরখে কুহান ফুল ৷৷ 


দিল খােল কে খোঁ রােলে গমে আরেযে শাহ মেঁ, নিকলে তু কহেঁ হাসরতে খোঁ নাবাহ্ শুদন ফুল ।। 


কিয়া গাযা মিলা গিরদে মদীনা কা জু হ্যায় আজ, 

নিখরে হুয়ে জু বন মে কিয়ামত কী ফবন ফুল ।। 


গরমী ইয়ে ক্যয়ামত হ্যায় কেহ্ কাটে হ্যাঁয় যোঁবাঁ পর, 

বুলবুল কো ভী আয় সাকীয়ে সাহরা ও লাবান ফুল ৷৷ 


হ্যায় কোন কেহ গিরইয়া করে ইয়া ফাতেহা কো আয়ে, 

বে কস কে উঠহায়ে তেরী রহমত কে ভরন ফুল ।। 


দিলে গম তুঝে ঘে-রে হ্যাঁয় খােদা তুঝকো উঅহ চমকায়ে, 

সুরাজ তেরে খিরমন কো বনে তেরী কিরণ ফুল ॥ 


কিয়া বা-ত রেযা উস চেমনিস্তানে করম কী, 

যাহরা হ্যায় কলী জিসমে হুসাইন আওর হাসান ফুল ॥ 



কাব্যনুবাদ 


নবী রাজেরই আপাদমস্তক তনু-মন ফুল, 

পাক-ঠোঁট ও অধর থুতনি কি তাঁর পূর্ণ সে তন ফুল। 


দিতে অর্ঘ্য সে পা’য় গুলবাগিচায় কতই বা ফুলপায়, 

মাের মন কলিরে দাও ইশারা হােক সে এখন ফুল। 


খড় কুটাও না যায় হেলানাে তায়, মােদের এ সত্ত্বায়, 

তুমি চাইবে যখন দুঃখ পাহাড় হবেই তখন ফুল। 


বলি শপথ সরব পাই তাে গরব ঘামেরই সৌরভ,  

তবে চাই না আতর, কিংবা কনে চায় না কখন ফুল। 


নেই রূপ কি সুবাস, নেই তাে সুহাস, দিল খুনে আশপাশ, 

কেন কইব কলি ফুটছে বুলির প্রতিটি ক্ষণ ফুল। 


কাটে স্মরণ নিশির, ভােরের শিশির দন্তে কী জ্যোতির, 

ভরা যৌবনে কি হাসছে শােভায় এমনি কানন ফুল। 


সেই দন্ত, অধর যুলফি বহর, চেহারা জ্যোতির পর 

মরে লজ্জাতে সব মুক্তো কি লাল, খােশবু, কিরণ, ফুল। 


সব রূপ হওয়া হয়, সামনে যা রয়, সেই রূপের উদয়, 

তার সামনে সবই ম্লান হয়ে যায় রত্ন, বরণ, ফুল। 


বাপ ভায়ের ঘাড়ে, গুনাহর ভারে লাজ নাহি বাড়ে, 

দেই দোহাই যেন পাই গােরে হে, পুষ্পজীবন ফুল। 


নখে পাক চরণের এই জীবনের অর্ঘ্য দিনু ফের,

তবে চাঁদ নিয়ে তুই কীইবা গরব করবি গগন ভুল! 


করে রক্তক্ষরণ বিষন্ন মন হেন অশ্রু বিসর্জন, 

এই বিষাদ বারি পড়বে যদি হাসবে চরণ ফুল৷ 


বুঝি সেই মদীনার, ধুল উপহার মাখলাে গায়ে তার, 

তাই মনমােহিনী খােশবু ও রূপ পায় সে এমন ফুল। 


সেই রােজে হাশর তৃষ্ণা -কাতর কণ্ঠে শুষ্কতর, 

এই বুলবুলে দাও সাকী, শরাব, স্বস্তি যেমন ফুল। 


কেঁদে বক্ষ ভাসে এগিয়ে এসে দুঃখ কে নাশে, 

যদি এই অসহায় সেই করুণায় পায়তাে এখন ফুল৷ 


হে চিত্ত আমার দুঃখ অপার ঘিরল চারিধার, 

খােদা চাইবে যখন সূর্য লাজে ভুলবে আপন কুল। 


রেযা বলব কী আর সেই করুণার বাগে কী বাহার, 

যাতে যাহরা কলি হাসান হােসাইন প্রিয় দু’জন ফুল। 


________________________________

    ©  ইসলামী বিশ্বকোষ | সুন্নি-বিশ্বকোষ

 
Top