হাজীউ আও শাহেনশাহ্ কা রওযা দেখাে

[ইমাম আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা (رحمة الله)]


উচ্চারণ 


হাজীউ আও শাহেনশাহ্ কা রওযা দেখাে, 

কা’বা তু দেখ চুকে কা’বা কা কা'বা দেখাে ॥ 


রুকনে শামী সে মিটী ওয়াহশাতে শামে গুরবাৎ, 

আব মদীনা কো চলাে সুবহে দিল আরা দেখাে ॥ 


আ’বে যমযম তু পিয়া খােব বুজহায়েঁ পেয়াসেঁ 

আও জুদে শাহে কওসর কা ভী দরইয়া দেখাে । 


যেরে মীযাব মিলে খােব করম কে ছিঁটে, 

আবরে রহমত কা ইয়াহাঁ যাের বরসনা দেখাে । 


ধূম দেখি হ্যায় দরে কা’বা পেহ্ বেতাবোঁ কী 

উনকে মুশতাকোঁ মেঁ হাসরত কা তড়পানা দেখাে ॥ 


মিসলে পরওয়ানা ফিরা করতে থে জিস শমআকে গির্দ, 

আপনি উস শমআ কো পরওয়ানা ইয়েহাঁ কা দেখাে ॥ 


খােব আখোঁ সে লাগায়া হ্যায় গিলাফে কা’বা, 

ক্বসরে মাহবুব কে পরদে কা ভী জলওয়াহ্ দেখাে । 


ওয়াঁ মুত্বীয়োঁ কা জিগর খওফ সে পানি পায়া, 

ইয়াঁ সিয়াহ্ কারোঁ কা দামান পেহ্ মচলনা দেখাে ॥ 


আউয়ালী খানায়ে হক কী তু যিয়ায়েঁ দেখেঁ, 

আখেরী বাইতে নবী কা ভী তজল্লা দেখাে । 


যীনাতে কাবা মে থা লাখ আরুসোঁ কা বনােও, জলওয়া ফরমা ইয়েহাঁ কওনাইন কা দু-লহা দেখাে ॥ 




কাব্যানুবাদ 


হাজীপ্রাণ ছুটে এসাে হেথা রাজাধিরাজ, 

কাবা তাে দেখলে, এখন দেখাে কাবারই রাজ। 


রুকনে শামীতে কাটে, যত আঁধার বিজন-বাটে 

মদীনাতে প্রাণ নাথ আছে, সেথা চলাে আজ ॥ 


আবে যমযম্ তাে পেলে, পিয়াস তাে খুব মেটালে, 

কাওসারওয়ালার দয়ার জোয়ার দেখে নাও আজ। 


মীযাবে রহমত হতে, দয়াসিক্ত হলে মেতে, 

মায়ামেঘমালা হতে অঝােরে বরষে নেয়াজ। 


ধরে কাবারই সে আচঁল, অনুরাগীদের কোলাহল, 

নবীজির প্রেমিকের হাহু তাশ! শােন তারই আওয়াজ ॥ 


পতঙ্গসম ত্যাজে প্রাণ, যে প্রদীপে করে সন্ধান, 

নিজ সেই প্রদীপের পতঙ্গ পুড়ে হেথা আজ ॥ 


কাবার ওই পূত গিলাফ, চোখে মুছে জুড়ালে তাপ, 

তাঁরই প্রিয় নবীরই পর্দা! দেখ অপূর্ব সাজ ॥ 


যত নেক বান্দা কাবায়, ভয়ে অন্তরাত্মা শুকায়, 

হেথা দামানে মাখামাখি যতাে পাপী সমাজ । 


প্রথমে দেখলে কাবা’র, জ্যোতি অহরহ আল্লাহর, 

শেষে প্রিয় নবীর নিবাসের দেখাে সাজ ॥ 


লাখাে বাসরের সজ্জা, ঝলমলে রূপ কাবার পর্দা, 

দোজাহানের দুলহা দেখাে শিরে নূরের তাজ ॥ 


আইমনে তুর কা থা রুকনে ইয়ামানী মেঁ ফরােগ, 

শো লায়ে তুর, ইয়েহাঁ আনজুমান আরা দেখাে ॥ 


মেহরে মাদার কা মযা দেতী হ্যায় আগােশে হাতীম, 

জিনপেহ্ মাঁ বাপ ফেদা ইয়াঁ করম উনকা দেখাে ॥ 


আরযে হাজাত মেঁ রাহা কা'বা কফীলে আনজাহ্ 

আদাব দাদ রসীয়ে শাহে তৈয়বা দেখাে ॥ 


ধাে চুকা যুলমাতে দিল বােসায়ে সনগে আসওয়াদ, 

খাকে বুসীয়ে মদীনা কা ভী রুতবা দেখাে ॥ 


কর চুকী রিফআতে কা'বা পেহ নযর পরওয়াযেঁ, 

টুপী আব থাম কে খাকে দর ওয়ালা দেখাে ॥ 


বে নয়াযী সে ওয়াহাঁ কাঁপতী পায়ী ত্বাআত, 

জোশে রহমত পেহ্ ইয়েহাঁ নায গুনাহ্ কা দেখাে ॥ 


জুমআয়ে মক্কা থা ঈদ আহলে ইবাদত কেলিয়ে, 

সুজরেমোঁ আ-ও ইয়েহাঁ ঈদে দো শােম্বা দেখাে ॥ 


মুলতাযিম সে তু গলে লাগ কে নিকালে আরমাঁ, 

আদব ও শাওক্ব কা ইয়াঁ বাহাম উলঝনা দেখাে ॥ 


খাে-ব মাসআ মেঁ বউমীদে বা সফা দোড় লিয়ে, 

রেহ জানাঁ কী সফাকা ভী তামাশা দেখাে ॥ 


রকসে বাসমাল কী বাহারেঁ তু মিনা মেঁ দে-খেঁ, 

দিলে খােন নাবাহ্ ফশাঁ কা ভী তড়পনা দেখাে ॥ 


গওর সে সুন তু রেযা কা’বা সে আতী হ্যায় সদা, 

মেরী আখোঁ সে মেরে পেয়ারে কা রওযা দেখাে ॥ 


আয়মনে তুর কুরআনে যা, রুকনে ইয়ামানীতে আছে তা, 

তুরেরই দীপ্ত শিখাটা মদীনাতে দেখ আজ ॥ 


হাতীমে কাবার ছিল বেষ্টন, মমতা ভরা মায়ের ও বাধঁন, 

বাবা-মা যাঁর পায়ে নত করুনা তাঁর নিও আজ। 


হাজত যত সামনে নিয়ে, কাবা যায় সব মুক্তি দিয়ে 

মুক্তিপাগল উম্মত হেথা লুকায় নিজ নিজ লাজ । 


হাজরে আসওয়াদে যে না চুম্বন, দিলে আঁধার হলােই মােচন 

চুমলে মাটি মর্যাদা পাই দেখাে মদীনারই মাঝ ।


কা’বারই উচ্চতা দেখে, দৃষ্টি তােমার পূন্য চাখে, 

টুপি মাথে নবীর মাটি বানাও জায়নামায 


প্রতাপশালী খােদার তাপে, হেথায় নেকী ভয়ে কাঁপে, ; 

দয়ার জোয়ার নবী দ্বারে, ভিড়ে পাপী সমাজ ।


মক্কাতে ঈদ জুমার দিনে, পূণ্যবান তা ঠিকই চিনে, 

পাপী দেখাে সােমবারে ঈদ মদীনায় সাজ, সাজ! 


মুলতাযিমকে জড়িয়ে ধরে, মাঙলে অনেক কান্না করে, 

আদব আশার এই মিতালী মদীনারই মাঝ ।।


সাফা ও মারওয়ার বুকে, ছুটলে তাে খুব পূন্যসুখে, 

থামাে, হেথা দিল সাফাইর দেখাে এ কারুকাজ ॥ 


হাদীর প্রাণীর কী আন্দোলন, দেখলে মিনায় সেই আবেদন, 

হিয়ার জখম তড়পে কেমন দেখাে মদীনাতে আজ ॥ 


মন দিয়ে রেযা শােন, আর্তি করে কাবা যেন, 

এ নয়নে দেখাে মম, বন্ধু সে মদিনার মাঝ ॥ 


________________________________

    ©  ইসলামী বিশ্বকোষ | সুন্নি-বিশ্বকোষ 

 
Top