৪০টি মাদানী ফুলের রযবী পুষ্পধারা


সমস্ত মাদানী ফুল ফতোওয়ায়ে রযবীয়া (সংকলিত) ৪র্থ খন্ডের শেষে প্রদত্ত “ফাওয়াইদে জলিলা”এর ৬১৩ থেকে ৭৪৬ পৃষ্ঠা থেকে নেওয়া হয়েছে;


❁ অযুতে চোখ দৃঢ়ভাবে বন্ধ করবে না, কিন্তু অযু হয়ে যাবে। ❁ যদি ঠোঁট খুব দৃঢ়ভাবে বন্ধ করে অযু করলো কিন্তু কুলি করলো না, তাহলে অযু হবে না। ❁অযুর পানি কিয়ামতের দিন নেকীর পাল্লায় রাখা হবে। (কিন্তু স্মরণ রাখবেন! প্রয়োজনের চেয়ে অধিক পানি খরচ করাটা অপচয়) ❁ মিসওয়াক থাকলে আঙ্গুল দ্বারা দাঁত মাজা সুন্নাত আদায় ও সাওয়াব অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। হ্যাঁ! মিসওয়াক না থাকলে তখন আঙ্গুল বা খসখসে কাপড় দ্বারা সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে এবং মহিলাদের জন্য মিসওয়াক থাকলেও দাঁতের মাজন যথেষ্ট।❁আংটি ঢিলা হলে তখন অযুতে সেটাকে নড়াচড়া করিয়ে পানি ঢালা সুন্নাত, আর যদি আঙ্গুলের সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত থাকে তাহলে আংটি নেড়ে পানি পৌঁছানো ফরয। এই হুকুম কানের দুল ইত্যাদির ক্ষেত্রেও। ❁অযুর অঙ্গ সমূহ ভালভাবে ধৌত করা অযু ও গোসল উভয় ক্ষেত্রে সুন্নাত। ❁অযুর অঙ্গ সমূহ ধৌত করার ক্ষেত্রে শরয়ী সীমার চতুর্পার্শ্বের এতটুকু পর্যন্ত বাড়ানো যার দ্বারা শরয়ী সীমারেখা পরিপূর্ণ হতে যেন সন্দেহ না হয়, তা ওয়াজীব। ❁ অযুর মধ্যে কুলি ও নাকে পানি না দেওয়া মাকরূহ এবং এর অভ্যস্থ ব্যক্তি গুনাহগার হবে। এই মাসয়ালাটি ঐসব লোকেরা খুব স্মরণ রাখবেন, যাদের কণ্ঠনালী পর্যন্ত ধৌত হয়ে যায়। এমনভাবে কুলি করেন না এবং তারা নাক পর্যন্ত পানি ছুঁয়ে দেন। নিঃশ্বাস দিয়ে উপরে নিয়ে যান না। এরা সবাই গুনাহগার। আর গোসলের মধ্যে এমনটি না করলে গোসল হবে না, নামাযও হবে না। ❁অযুতে প্রতিটি অঙ্গ সম্পূর্ণ তিনবার ধৌত করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। ছেড়ে দেওয়ায় অভ্যস্থ ব্যক্তি গুনাহগার হবে। ❁অযুতে তাড়াতাড়ি না করা উচিত, বরং ধীরস্থির ও সতর্কতার সাথে করবে, সাধারণ মানুষের কাছে প্রসিদ্ধ যে, অযু যুবকদের মতো। নামায বৃদ্ধদের মতো এটা অযুর ব্যাপারে একেবারেই ভুল। ❁ মুখ ধোয়ার সময় না গালে পানি দিবে, না নাকে আর প্রবল জোরে কপালের উপর, এই সব মূর্খদের কাজ। বরং ধীরস্থির ভাবে কপালের উপর থেকে থুথুনির নিচ পর্যন্ত পানি প্রবাহিত করবে। ❁ অযুতে মুখ থেকে টপকে পড়া পানি উদাহরণ স্বরূপ- হাতের বাহুতে পড়লো এবং বাহুতে প্রবাহিত করে দিলো অর্থাৎ মুখ থেকে ঝরে পড়া পানির দ্বারা বাহু ধৌত করা যাবে না। এর দ্বারা অযু হবে না এবং গোসলের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ- মাথার পানি পা পর্যন্ত যেখানে যেখানে অতিবাহিত হবে পবিত্র হয়ে যাবে। সেখানে নতুন পানির প্রয়োজন নেই। ❁ব্যক্তি অযু করতে বসলো। তারপর কোন প্রতিবন্ধকতার কারণে সব কিছু পরিপূর্ণ ভাবে করতে পারেনি, তবে যতটুকু করেছে এর উপর সাওয়াব পাবে, যদিও অযু হয়নি। ❁যে ব্যক্তি নিজেই এই ইচ্ছা করবে যে, অর্ধেক অযু করবে, তবে সে ঐ অর্ধাংশের সাওয়াব পাবে না। এমনিভাবে যে অযু করতে বসলো এবং কোন কারণ ছাড়া অযু অর্ধেক করে ছেড়ে দিল সেও যতটুকু অযু করেছে সেটার সাওয়াব পাবে না। ❁ যদি মাথার উপর বৃষ্টির এতটুকু ফোটা পড়লো যে, মাথা এক চতুর্থাংশ ভিজে গেলো, মাসেহ হয়ে গেলো। যদিও ঐ ব্যক্তি হাত না লাগায়। ❁ কুয়াশার মধ্যে খালি মাথায় বসলো এবং তার মাথা এক চতুর্থাংশ ভিজে গেলো, মাসেহ হয়ে গেলো। ❁এতটুকু গরম ও ঠান্ডা পানি দ্বারা অযু করা মাকরূহ, যা শরীরে ভালভাবে ঢালা যায় না। সুন্নাত পরিপূর্ণ করতে দেয় না। আর যদি ফরয পূর্ণ করতে প্রতিবন্ধকতা হয়, তাহলে অযু হবে না। ❁পানি অযথা খরচ করা, নিক্ষেপ করাটা  হারাম। (নিজে বা অন্য জন পানি পান করার পর গ্লাস বা জগের বেঁচে যাওয়া পানি ইচ্ছাকৃত নিক্ষেপ কারীরা তাওবা করুন এবং আগামীতে এর থেকে বেঁচে থাকুন) ❁নাভী থেকে হলদে পানি বের হলে অযু ভেঙ্গে যায়। ❁রক্ত বা পূঁজ চোখে প্রবাহিত হলো, কিন্তু চোখ থেকে বাইরে বের হয়নি। তাহলে অযু ভাঙ্গবে না। সেটা কাপড় দ্বারা মুছে পানিতে ফেললেও পানি নাপাক হবে না। ❁ আঘাতের উপর পট্টি বাঁধা, সেটাতে রক্ত ইত্যাদি লেগে গেলো। যদি সম্ভাবনা থাকে যে, ব্যান্ডিজ না হলে রক্ত প্রবাহিত হবে, তাহলে অযু ভঙ্গ হয়ে গেলো অন্যথায় নয়। আর না পট্টি নাপাক। ❁ প্রস্রাবের ফোটা বা রক্ত ইত্যাদি লিঙ্গের ভিতর প্রবাহিত হলো। কিন্তু লিঙ্গের মাথার বাইরে বের হয়নি, তবে অযু ভঙ্গ হবে না এবং প্র¯্রাবের ফোটা লিঙ্গের মাথায় বের হলো তবে অযু ভঙ্গ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট। ❁নাবালিগ কখনো অযুহীন হয় না, আর নাপাকী অর্থাৎ গোসলহীন হয় না। অর্থাৎ নাবালিগদের অযু ও গোসলের হুকুমের অভ্যাস করাতে এবং আদব শিখানোর জন্যই। অন্যথায় অন্য কোন অযু ভঙ্গকারী কাজের দ্বারা তাদের অযু ভঙ্গ হয় না। আর না সহবাসের দ্বারা তাদের উপর গোসল ফরয হয়। ❁অযু সহকারে থাকা ব্যক্তি মা-বাবার কাপড় বা তাদের খাওয়ার জন্য ফল অথবা মসজিদের ফ্লোর সাওয়াবের জন্য ধৌত করলো, তাহলে পানি ব্যবহৃত হবে না। যদিও এই কাজ আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য হয়। ❁ নাবালিগের পবিত্র হাত বা শরীরের কোন অংশ যদি সে অযুহীন হয়। পানিতে হাত প্রবেশ করাতে পানি অযু করার যোগ্য থেকে গেলো। ❁ শরীর পরিস্কার রাখা, ময়লা দূর করা শরীয়াতের চাহিদা। কেননা, ইসলামের ভিত্তি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর। এই নিয়্যতে অযু সহকারে থাকা ব্যক্তি শরীর ধৌত করলো, নিঃসন্দেহে সাওয়াবের অধিকারী হলো। কিন্তু পানি ব্যবহৃত হলো না। ❁ব্যবহৃত পানি পবিত্র, এর দ্বারা কাপড় ধৌত করা যায়, কিন্তু এর দ্বারা অযু হয় না এবং এটা পান করা ও আটা মাকানো মাকরূহে তানযীহি। ❁ পূর্ণ করা পানি অনুমতি ছাড়া নিয়ে গেলো, যদিও জোরপূর্বক অথবা চুরি করে নিয়ে গেলো, এর দ্বারা অযু হয়ে যাবে। কিন্তু হারাম। অবশ্য কারো মালিকানাধীন কূপ থেকে তার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পানি পূর্ণ করে নিলো, এটা ব্যবহার করা জায়েয। ❁ যেই পানির মধ্যে ব্যবহৃত পানির ছিটা বা স্পষ্ট ফোটা পড়লো, এর দ্বারা অযু না করা উত্তম। ❁ শীতকালে অযু করার দ্বারা ঠান্ডা বেশি অনুভূত হবে, তার কষ্ট হবে। কিন্তু যদি কোন রোগের সম্ভাবনা না থাকে তবে তায়াম্মুমের অনুমতি নেই। ❁ শয়তানের থুথু বা ফুক দেওয়ার দ্বারা নামাযের মধ্যে প্রস্রাবের ফোটা বা বায়ূ বের হওয়ার সন্দেহ হয়, তবে হুকুম হলো যতক্ষন পর্যন্ত এমন দৃঢ় বিশ্বাস হবে না যে, যেটার উপর শপথ করতে পারবে। ঐ কুমন্ত্রণার প্রতি মনযোগ দিবে না। শয়তান বলে যে, তোমার অযু ভেঙ্গে গেছে, তখন অন্তরে জাওয়াব দিবে যে, হে অভিশপ্ত! তুই মিথ্যুক এবং নিজের নামাযের মধ্যে ব্যস্ত থাকবে। ❁ মসজিদকে প্রত্যেক দূর্গন্ধ জিনিস থেকে বাঁচানো ওয়াজীব। যদিও সেটা পাক হোক। উদাহরণ স্বরূপ- থুথু, কফ, লালা। যেমন- শ্লেশ্মা, নাক থেকে প্রবাহিত পানি, অযুর পানি।❁সতকর্তা: অনেক লোক অযুর পরে নিজের মুখ হাতের পানি মুছে মসজিদে হাত ঝাড়তে থাকে। এটা হারাম ও নাজায়িয। ❁ পানিতে প্রস্রাব করাটা মাকরূহ যদি নদীতেও হয়। ❁ যেখানে কোন নাপাকী পড়ে রয়েছে, সেখানে তিলাওয়াত করাটা মাকরূহ। ❁ পানি নষ্ট করা হারাম। ❁ সম্পদ নষ্ট করা হারাম। ❁ যমযমের পানি দ্বারা গোসল ও অযু মাকরূহ ছাড়া জায়েয এবং প্রস্রাব ইত্যাদি করে ঢিলে দ্বারা শুষ্ক করে নেওয়ার পর যমযমের পানি দ্বারা ইস্তিন্জা করা মাকরূহ এবং নাপাকি ধৌত করা (উদাহরণ স্বরূপ- প্রস্রাবের পর টিসু পেপার ইত্যাদি দ্বারা না শুকিয়ে) গুনাহ। ❁ ঐ অপচয় যেটা না জায়িয ও গুনাহ সেটা শুধু মাত্র ঐ দুই ক্ষেত্রে হয়, এক: কোন গুনাহের কাজে খরচ ও ব্যবহার করা, দুই: অনর্থক সম্পদ নষ্ট করা। ❁ মৃত ব্যক্তির গোসল শিখানোর জন্য মৃত ব্যক্তিকে গোসল করালো এবং তাকে গোসল দেওয়ার নিয়্যত করেনি, মৃত ব্যক্তি পাক হয়ে গেলো। জীবিতদের মধ্যে থেকে ফরয আদায় হয়ে গেলো। কাজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। হ্যাঁ! নিয়্যত ছাড়া সাওয়াব পাবে না।


হে রব্বে মুস্তফা! আমাদেরকে অপচয় থেকে বাঁচিয়ে শরয়ী ভাবে অযু করার পাশাপাশি সব সময় অযু সহকারে থাকার সৌভাগ্য দান করো।


اٰمِين بِجا هِ النَّبِيِّ الْاَمين  صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم


অযু সহকারে মৃত্যু বরণকারী শহীদ


ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم: “যদি তোমরা সব সময় অযু সহকারে থাকার ক্ষমতা রাখো, তবে এমনটাই করো। কেননা, মালাকুল মউত যে বান্দার রূহ অযু অবস্থায় বের করেন, তার জন্য শাহাদাতের (মর্যাদা) লিখে দেওয়া হয়।” (শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৭৮৩) 


সন্তান জন্মের সময় সহজতার ব্যবস্থাপত্র (মরিয়ম বিবির ফুল) 


মরিয়ম বিবির ফুল: কোন বাচ্চা জন্মের সময় ব্যথা শুরু হলে কোন খোলা বাসন বা বোতলের পানিতে ঢেলে দেওয়া হয়, তবে যতই ভিজতে থাকবে ও প্রষ্ফুটিত হতে থাকবে আল্লাহ্ তাআলার দয়ায় মরিয়ম বিবির ফুলের বরকতে বাচ্চার জন্ম খুব সহজ ভাবেই হবে।অপারেশন ছাড়াই জন্ম হয়ে গেলো (মরিয়ম বিবির ফুলের উপকারীতা) 


দা’ওয়াতে ইসলামীর জামেয়াতুল মদীনার এক শিক্ষক ইসলামী ভাইয়ের বর্ণনা: আমার দ্বিতীয় বাচ্চার জন্মের দিন ছিলো। আমার বাচ্চার মা হাসপাতালের নির্দিষ্ট কক্ষে (লেবার রুমে) ভর্তি ছিলো। কিছু সময় পর আমি এক মাদানী মুন্নার জন্মের সুসংবাদ পেলাম। হাসপাতালের অপেক্ষমান রুমে এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত হলো। তখন তিনি কথায় কথায় মরিয়ম বিবির ফুলের কথা আলোচনা করলেন, তখন আমি জিজ্ঞাসা করার পর সে বললো: যদি বাচ্চার জন্মের পর ব্যথা শুরু হয়, তবে এই শুষ্ক ফুল কোন খোলা বাসন বা বোতলের পানিতে যদি ঢেলে দেওয়া হয়, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাজা থাকবে এবং ফুটতে থাকবে। আর এর উপকারীতা হলো এটাই যে, বাচ্চার জন্মের সময় সহজতা হয়। তারপর কম ও বেশি দুই বছর পর যখন তৃতীয় বাচ্চার জন্মের পর্যায়ে আসলো। তখন মহিলা ডাক্তার আমার বাচ্চার মাকে অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্মের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে বললেন। আমি মরিয়ম বিবির ফুলের কথা স্মরণ করলাম, তখন আমি দেশীয় ঔষধের দোকান থেকে মরিয়ম বিবির ফুল সংগ্রহ করলাম। আর যখন বাচ্চা জন্মের সময় আসলো, তখন আমি সেটা পানির মধ্যে ঢেলে দিলাম। আল্লাহ্ তআলার দয়ায় অপারেশন ছাড়াই মাদানী মুন্নীর জন্ম হয়ে গেলো। এক বছর পর চতুর্থ বাচ্চার জন্যও ডাক্তার অপারেশনের জন্য নির্দিষ্ট করে দিলেন, কিন্তু আমি অন্যান্য ওযীফার পাশাপাশি (যেটা মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত কিতাব “ঘরোয়া চিকিৎসা” এর মধ্যে রয়েছে) মরিয়ম বিবির ফুল ব্যবহার করি। এভাবে ও অপারেশন ছাড়াই মাদানী মুন্নীর জন্ম হয়ে গেলো। এর কমপক্ষে দুই বছর পর যখন পঞ্চম বাচ্চার জন্মের পর্যায় আসলো, তখন আমি আমার ঘরের পাশ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। সেখানেও ডাক্তাররা মেডিকেল রিপোর্ট ও তাদের গবেষণার দৃষ্টিতে অপারেশন করতে বলেন। আমি চেষ্টা করে টাকার ব্যবস্থাও প্রস্তুত রেখেছিলাম এবং ওযীফা আদায়ের পাশাপাশি যখন জন্মের সময় হলো, তখন মরিয়ম বিবির ফুল খোলা বোতলের পানিতে ঢেলে দিলাম, ডাক্তার অপারেশন ছাড়া জন্মানোর জন্য অনেক চেষ্টা করার পর অপারেশনের জন্য টাকা জমা করানোর জন্য বললেন। এখন অপারেশন ছাড়া উপায় নেই এবং অপারেশনের ব্যবস্থাও শুরু করে দেন। টাকা ব্যাংকে ছিলো, হাসপাতালের পাশে এটিএম বুথ থেকে টাকা বের করলাম এবং কাউন্টারের কাছে জমা করে দিলাম। কিন্তু অপারেশনের পূর্বেই আল্লাহ্ তাআলার দয়ায় নিরাপদে মাদানী মুন্নার জন্মের সংবাদ পেলাম। মরিয়ম বুটির ব্যবহারের জন্য চার ও পাঁচ ইসলামী ভাইকে পরামর্শ দিলাম। তাদের মধ্য থেকে একজনকে ডাক্তার অপারেশনের জন্য বলে রেখেছিলো اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ عَزَّوَجَلَّ তার ঘরে অপারেশন ছাড়াই জন্ম হয়ে গেলো।

 
Top