হাফ হাতা জামা পরিধান করে নামায আদায় করা কেমন?


হাফ হাতা জামা বা শার্ট পরে নামায আদায় করা মাকরূহে তানজিহী, যদি তার নিকট অন্য জামা থাকে। হযরত সদরুশ শরীয়া মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِবলেন: “যার নিকট কাপড় রয়েছে তার জন্য শুধু হাফ হাতা শার্ট কিংবা গেঞ্জী পরে নামায আদায় করা মাকরূহে তানযিহী আর কাপড় না থাকলে মাকরূহও হবে না।” (ফতোওয়ায়ে আমজাদিয়া, ১ম অংশ, ১৯৩ পৃষ্ঠা) মুফতীয়ে আযম পাকিস্তান হযরত কিবলা মুফতী ওয়াকারুদ্দীন কাদেরী রযবী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: “হাফ হাতা জামা, শার্ট ইত্যাদি কাজ কর্মের পোষাকের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। (সাধারণত কাজ কর্মের পোষাক পরে মানুষ সম্মানী ব্যক্তিবর্গের সামনে যেতে ইতস্ততঃ বোধ করে) এজন্য যাদের হাফ হাতা জামা পরে অপর লোকের সামনে যেতে মন সায় দেয় না, তাদের নামায মাকরূহে তানযীহী হবে আর যে সব লোক এমন পোষাক পরে সবার সামনে যেতে খারাপ মনে করে না, তাদের নামায মাকরূহ হবে না।) (ওয়াকারুল ফতোওয়া, ২য় খন্ড, ২৪৬ পৃষ্ঠা) 



যোহরের শেষের দু’রাকাত নফলের ব্যাপারে কী বলবো!


যোহরের (ফরয নামাযের) পর চার রাকাত নামায আদায় করা মুস্তাহাব। কেননা, হাদীস শরীফে এসেছে: “যে ব্যক্তি যোহরের (ফরযের) পূর্বের চার রাকাত এবং যোহরের পরের চার রাকাত (নামাযের) প্রতি যত্নবান হবে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর (জাহান্নামের) আগুন হারাম করে দেবেন।” (সুনানে নাসাঈ, ২২০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৮১৭) আল্লামা সৈয়্যদ তাহতাবী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: “শুরু থেকে জাহান্নামে প্রবেশই করবেন না এবং তার গুনাহ সমূহ মোচন করে দেয়া হবে ও তার উপর (বান্দার হক নষ্ট করার) যা পাওনা রয়েছে আল্লাহ তাআলা তার প্রতিপক্ষকে সন্তুষ্ট করে দিবেন। অথবা এর মর্মার্থ হলো;তাকে এমন কাজের সামর্থ্য দান করবেন যার কারণে তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে না। আল্লামা শামী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: “তার জন্য সুসংবাদ হলো, তার শেষ পরিণাম সৌভাগ্যের সাথে (অর্থাৎ ঈমানের উপর) মৃত্যু হবে এবং সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।” (শামী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৫২) 


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ عَزَّوَجَلَّ যেখানে আপনারা যোহরের নামায দশ রাকাত পড়েন, সেখানে শেষে দুই রাকাত নফল আদায় করে বারভী শরীফের সাথে সম্পর্ক রেখে ১২ রাকাত আদায় করুন। এতে আর কত সময় লাগবে?স্থায়িত্বের সাথে দুই রাকাত নফল পড়ার নিয়্যত করে নিন।

 
Top