আযানের অবজ্ঞার ব্যাপারে প্রশ্নোত্তর


প্রশ্ন: আযানের অবজ্ঞা করা কেমন?


উত্তর: আযান ইসলামের নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি আর ইসলামের যে কোন নিদর্শনকে অবজ্ঞা করা কুফরী।


حَیَّ عَلَی الصَّلٰوۃ  এর ব্যাপারে হাসি-তামাশা করা


প্রশ্ন: আযানের মধ্যে حَیَّ عَلَی الصَّلٰوۃ (অর্থ-নামাযের দিকে এসো) এবং حَیَّ عَلَی الفَلَاح (অর্থ-কল্যাণের দিকে এসো) এ বাক্যগুলো শুনে যদি কৌতুক করে কেউ বলে: এসো সিনেমা ঘরের দিকে, নতুবা টিকিট শেষ হয়ে যাবে।


উত্তর: কুফরী। কেননা এটি আযানের উপহাস করা হয়েছে। আমার আক্বা আ’লা হযরত, ইমামে আহ্লে সুন্নাত, মাওলানা শাহ্ আহমদ রযা খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ এর খিদমতে প্রশ্ন করা হয়: জনাব! এই মাসআলা সম্পর্কে আপনার কি মতামত? যে, মসজিদের মুয়াজ্জিনের আযান শুনার সাথে সাথে যায়েদ নামক এক ব্যক্তি এরকম উপহাস করলো। অর্থাৎ-حَیَّ عَلَی الصَّلٰوۃ শুনে কৌতুক করে (ভাইয়্যা মারো ডান্ডা) এই ধরণের কোন বাক্য বললো। এ ধরণের বাক্য দ্বারা যায়েদের মুরতাদ হওয়া এবং বিবাহ ভেঙ্গে যাওয়া সাব্যস্ত হবে কিনা? আর যায়েদের বিবাহ বিনষ্ট হয়েছে কিনা? জবাব: আযানের সাথে উপহাস করা অবশ্যই কুফরী। যদি আযানের সাথেই সে উপহাস করলো। তবে নিঃসন্দেহে সে কাফির হয়ে গিয়েছে। তার স্ত্রী তার বিবাহ বন্ধন হতে বের হয়ে গিয়েছে। যদি সে পুনরায় মুসলমান হয় এবং তার স্ত্রীর সাথে পূনঃবিবাহ করে তখন তার সাথে এক বিছানায় শয়ন করা এবং সঙ্গম করা হালাল হবে। অন্যথায় তা যেনা হবে। আর যদি পুনঃইসলাম ও বিবাহ ছাড়া মহিলা তার সাথে এক বিছানায় শয়ন করে এবং সঙ্গম করতে রাজী হয়ে যায় তখন সে (মহিলা) ব্যভিচারিনী হিসেবে গণ্য হবে। আর যদি যায়েদের আযানের সাথে উপহাস করা উদ্দেশ্য না হয়। বরং স্বয়ং মুয়াজ্জিনের সাথে উপহাস করা উদ্দেশ্য হয়। যেহেতু মুয়াজ্জিন ভুলভাবে আযানের শব্দ উচ্চারণ করেছেন। এজন্য সে মুয়াজ্জিনের সাথে কৌতুক করেছে, তবে এ অবস্থায় যায়েদ কাফির হবে না আর তার বিবাহও নষ্ট হবে না। তবে তাকে পুনঃইসলাম কবুল করা ও বিবাহ নবায়নের হুকুম দেয়া হবে। وَ اللهُ تَعَالٰی اَعْلَمُ (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২১তম খন্ড, ২১৫ পৃষ্ঠা) 


 
Top