খোৎবার সময় কাছাকাছি থাকার ফযীলত


হযরত সায়্যিদুনা সামুরা ইবনে জুনদুব رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ থেকে বর্ণিত;নবী করীম, রউফুর রহীমصَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “তোমরা খোৎবা পাঠের সময় উপস্থিত থাকো এবং ইমামের কাছাকাছি থেকেই তা শ্রবণ করো। কেননা খোৎবা পাঠের সময় যে ইমাম থেকে যতটুকু পরিমাণ দূরত্বে থাকবে, সে জান্নাতেও ততটুকু পরিমাণ পিছনে থাকবে।যদিও সে (অর্থাৎ মুসলমান) নিশ্চিত জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সুনানে আবু দাউদ, ১ম খন্ড, ৪১০ পৃষ্ঠা, হাদীস-১১০৮) 


তখন জুমার নামাযের সাওয়াব পাওয়া যাবে না


তাজেদারে রিসালাত, নবীয়ে রহমত, শফীয়ে উম্মত صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি, ইমাম জুমার খোৎবা দেয়ার সময় কথা বলে, তার উদাহরণ ঐ গাধার মতো, যে কিতাব বহন করে। আর ঐ সময় যে কেউ তার সাথীকে এরূপ বলল যে, “চুপ থাক” বলে সে জুমার সাওয়াব পাবে না।” (মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন্ হাম্বল, ১ম খন্ড, ৪৯৪ পৃষ্ঠা, হাদীস-২০৩৩) 


নিরবে খোৎবা শুনা ফরয


যে সমস্ত কাজ নামাযের মধ্যে হারাম যেমন-পানাহার করা, সালাম ও সালামের জবাব দেওয়া ইত্যাদি তা খোৎবার সময়ও হারাম। এমনকি নেকীর দা’ওয়াত দেয়াও হারাম। তবে খতিব সাহেব নেকীর দাওয়াত দিতে পারবেন। যখন খোৎবা পাঠ করা হয় তখন খোৎবা শুনা এবং নিরব থাকা উপস্থিত সকল মুসল্লীদের উপর ফরয। আর যে সমস্ত লোক ইমাম থেকে দূরে এবং খোৎবার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে না তাদের উপরও নিরব থাকা ওয়াজীব। খোৎবা পাঠের সময় কাউকে কোন খারাপ কথা বলতে দেখলে তাকে হাত বা মাথার ইশারা দ্বারা নিষেধ করতে পারবে। মুখ দ্বারা নাজায়িয। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৭৪ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৩৯ পৃষ্ঠা) 


খোৎবা শ্রবণকারী দরূদ শরীফ পড়তে পারবে না


খতিব সাহেব খোৎবাতে সুলতানে মদীনা, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নাম মোবারক উচ্চারণ করার সময় উপস্থিত মুসল্লীরা মনে মনে দরূদ শরীফ পাঠ করবে। খোৎবা পাঠের সময় মুখে দরূদ শরীফ পড়ার অনুমতি নেই। অনুরূপ সাহাবায়ে কিরামগণের عَلَیۡہِمُ الرِّضۡوَان নাম উচ্চারণ করার সময়ও মুখে رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ  বলার অনুমতি নেই। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৭৫ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৪০ পৃষ্ঠা)

 
Top